আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জনে আরেক ধাপ এগিয়েছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প
- আপডেট সময় : ০১:৪১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬৭৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের আরও একটি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জনের দিকে আরেকধাপ এগোলো বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। নতুন গ্রীণ ইয়ার্ডটি পরিদর্শনে এসে, সন্তুষ্টির কথা জানান নরওয়ের রাষ্ট্রদুত এসপেন রিক্টার ভেনসেন। আর এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের বাজারে স্ক্র্যাপের চাহিদা কমার পাশাপাশি ডলার সংকটসহ নানা কারনে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প।
সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকার কে আর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের চিত্র এটি। ক’দিন আগেও পানি কাদা মারিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপুর্ণভাবে জাহাজ কাটা হলেও, এখন বদলে গেছে দৃশ্যপট। কংক্রিটের ফ্লোরের পাশে ভেড়ানো হয়েছে স্ক্র্যাপ জাহাজ। বর্জ্যশোধনাগার প্রস্তুত, বসানো হয়েছে আধুনিক যন্ত্রাংশ।
শিপ ইয়ার্ডগুলোর মান নিয়ন্ত্রণকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাস এনকে ও ব্যুরো বেরিটাস গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা দিয়েছে এই শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডকে। যা সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন নরওয়ে রাষ্ট্রদুত। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের ধারাবাহিক উন্নয়নে সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
(ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, YouTube, Threads এবং Instagram পেজ)
এই খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাহিদার পাশাপাশি হংকং কনভেশন রেটিফাই করার কারণে, ২০২৫ সালের মধ্যে সব শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রুপান্তরিত করার তাগিদ আছে সরকারেরও। এতে পরিবেশ সম্মতভাবে জাহাজ ভাঙ্গার পাশাপাশি শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, করোনার পর যুদ্ধের কারণে ডলার সংকটে বিপর্যয় নেমেছে ভাসমান লোহার খনি খ্যাত এই শিল্পে। জাহাজ আমদানিতে ঋণ পেলেও ইয়ার্ড উন্নয়নে কোন সহযোগীতা পান না তারা।
সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট থেকে কুমিরা পর্যন্ত খাতা কলমে দেড় শতাধিক শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের অনুমোদন থাকলেও সক্রিয় আছে ৩৫ থেকে ৪০টি। এর মধ্যে চারটি গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে। আরো ১০/১২টির মানোন্নয়ন চলছে।