জিএম পদে পদোন্নতি পেয়েও ডিজিএমের চেয়ার বহাল
- আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিজিএম চৌধুরী জিয়াউল হাসানকে জিএম পদে পদোন্নতি দিয়েছে বিপিসি। কিন্তু জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ৯ মাস ধরে আগের চেয়ারই দখলে রেখেছেন তিনি।
এমনকি অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নতুন ডিজিএমকে অফিস ও গাড়ি বুঝিয়ে দেননি। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল বিপনন কোম্পানিতে। এব্যাপারে বক্তব্যের জন্য, পদ্মা অয়েলের প্রধান কার্যালয়ে গেলেও, বক্তব্য দূরের কথা, অফিসেই ঢুকতে দেননি অভিযুক্ত জিয়াউল হাসান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পদোন্নতি পেয়ে যোগ না দেয়ার ঘটনা চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যার দায় এড়াতে পারে না উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও।
চৌধুরী মোহাম্মদ জিয়াউল হাসান। পদ্মা অয়েল কোম্পানীর প্রকৌশল ও পরিকল্পনা বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন।
গেলো বছরের মাঝামাঝি ঢাকার পিতলগঞ্জ থেকে কুর্মিটোলা পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের পিডি করে বদলী করা হয় ঢাকা বিমানবন্দর এভিয়েশনে। কিন্তু চট্টগ্রামের অফিস দখলে রেখেই, ঢাকার প্রকল্প দেখভাল করতে থাকেন তিনি।
৬ মাসের মাথায় অর্থ ও হিসাব বিভাগের জিএম হিসেবে পদোন্নতি দিয়েও ডিজিএমের চেয়ার থেকে তাকে সরাতে পারেনি বিপিসি।
পরে গেলো ১৮ জানুয়ারি আগের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত ডিজিএমএর অফিস ও গাড়ি দখল করে রেখেছেন জিয়াউল হাসান। অথচ বেতন নিচ্ছেন জিএম পদের বিপরীতে। এতে হতবাক বিশ্লেষকরা।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে পদ্মা অয়েল কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে গেলেও নিরাপত্ত্বা কর্মীরা এসএ টিভির টিমকে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। পরে ক্যামেরা ছাড়া জিয়াউল হাসানের সঙ্গে কথা বললে, এমডির ওপর দায় চাপান তিনি।
তবে পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, তিনি নতুন এসেছেন। বিষয়টি জানতে পেরেই জিয়াউল হাসানকে নতুন পদে যোগদান করার তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ের কারনে নতুন পদে যোগদান করেননি এখনো। তবে আগের পদেও তিনি এখন নেই।
পদ্মার অয়েল সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকৌশল ও পরিকল্পনা বিভাগের ডিজিএম হিসেবে ডিপো থেকে শুরু করে সবধরনের স্থাপনার সংস্কার কাজের তদারকি চৌধুরী জিয়াউল হাসানই করেন।
এই খাতে বছরে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন পিতলগঞ্জ পাইপলাইন প্রকল্প হাতছাড়া হওয়ার আশংকায় পদোন্নতি পেয়েও নতুন পদে যোগ দিচ্ছেন না জিয়াউল হাসান।