ঝিনাইদহে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধভাবে ইটভাটা
- আপডেট সময় : ০২:১১:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
- / ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহে ২টি গ্রামের পাশাপাশি ৩টি ইটভাটা। বিদ্যালয়, বসত বাড়ি ঘিরে ফসলী জমি নষ্ট করে গড়ে ওঠা এসব অবৈধ ইটভাটার কারণে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অবৈধ এই ভাটার কালো ধোঁয়া আর উড়ে আসা বালি বিদ্যালয় ভবনে প্রবেশ করে নষ্ট করছে শিক্ষার পরিবেশ। এতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি মাধমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বর্তমানে ৩ শতাধিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন আইনে নিষিদ্ধ হলেও ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের ৩০০ গজের মধ্যে এইচএবিএম নামের ইটভাটা স্থাপন করা হয়। এর নেই কোন লাইসেন্স এমন কি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই। কয়লার পরিবর্তে সেখানে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে নষ্ট হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ।
একই ভাবে পার্শবর্তী চোরকোল গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে সাধনা ব্রীকস নামের ইটভাটা। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইনে আবাসিক এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে ভাটা স্থাপন করা যাবে না উল্লেখ থাকলেও এখানে বাড়ির সীমানায় গড়ে উঠেছে ইটভাটা।
ভাটা কর্তৃপক্ষের দাবী, ছাড়পত্রের জন্য সকল কাগজ জমা দেয়া হয়েছে। কিন্ত অনুমোদনের আগেই কেন ইট পোড়ানো হচ্ছে? এর কোন সন্তোষজনক উত্তর নেই তাদের।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন এসব ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক বলছেন, নতুন করে আর কোন ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না। যেগুলো চলছে সেগুলোর নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে ভ্রাম্যমান আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দশনা মেনে ইট ভাটা পরিচালনার দাবী স্থানীয়দের।