ঝিনাইদহে বিএডিসি’র ব্রি-৫১ জাতের ধানবীজে ভেজালের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহে বিএডিসি’র ব্রি-৫১ জাতের ধানবীজে ভেজাল আছে এমন অভিযোগ উঠেছে। সরকারিভাবে সরবরাহ করা এ ধানবীজ আবাদ করে ফলন নিয়ে এখন শংকিত স্থানীয় কৃষকরা। ফলন বিপর্যয়ে ক্ষতির আশংকায় এখন তাদের কপালে ভাঁজ। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বিএডিসির কোন কর্মকর্তা।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ছোট কামারকুন্ডু গ্রামের প্রান্তিক চাষী মিন্টু বিশ্বাস। নিজের ২ বিঘা ও অন্যের ৩ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আমন মৌসুমে আবাদ করেছেন ব্রি-৫১ জাতের ধানবীজ। রোপণের কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন বীজ নিয়ে জটিলতা। একই জমিতে বেড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রকার ধানের জাত। আশানুরুপ ফলন না পাবার শংকায় চিন্তিত তিনি।
একই দশা জেলার সদর, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত কৃষকের। এই বীজ দিয়ে ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন। তদন্তের পাশাপাশি চাইলেন ক্ষতিপূরণও।.
স্থানীয় ডিলাররা বলছেন, কোন কারসাজি আছে কিনা এজন্য বিএডিসির উচিত তদন্ত করা।
বিষয়টি জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কথা জানালেন জেলা কৃষকলীগের নেতা।
বীজে ভেজালের বিষয়টি নিয়ে বিএডিসি’র কার্যালয়ে কয়েকবার গিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিএডিসি’র উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
এ বছর আমন মৌসুমে ঝিনাইদহে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৪ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে। ১ লাখ ৪ হাজার ১২৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-৫১ জাতের ধানবীজ রোপণ হয়েছে ৬’শত ৫ হেক্টর জমিতে।