টাংগন নদীর ব্যারেজে চরম বিপাকে পড়েছে পঞ্চগড়ের কয়েক হাজার চাষী
- আপডেট সময় : ০৪:১৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
টাংগন নদীর ব্যারেজে ঠাকুরগাঁওয়ের কিছুটা সুবিধা হলেও, চরম বিপাকে পড়েছে পঞ্চগড়ের কয়েক হাজার চাষী। নদীর সামনের অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায়, তাদের জমি বর্ষাকালে ডুবে থাকে আর শুষ্ক মৌসুমেও মেলেনা সেচ সুবিধা। ব্যারেজ এখন তাদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার টাংগন নদী থেকে সেচ সুবিধা দিতে ১৯৮৪ সালে ব্যারেজ নির্মাণ করা হয়। প্রায় ১৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৩ সালে এর নির্মাণ শেষ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ওই বছরই সেচ সুবিধায় আসে সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমি। বর্ষাকালে পানি আটকে উঁচু জমিতে সেচ দিয়ে আমন চাষ করা হয়। এই সময় নদীর উজানের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ডুবে থাকে। আবার শুষ্ক মৌসুমে বাঁধ দিয়ে উজানের জমিতে বোরো চাষ করা হয়। দুই-তিন বছর সব কিছু ভালো ভাবে চললেও, এরপরই শুরু হয় সংকট।
বাঁধের উজানে দুর্ভোগে পড়েছে পঞ্চগড়ের চাষিরা। প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার এলাকা ভরাট হয়ে গেছে। শুষ্ক মৌসুমেও সেচ থেকে বঞ্চিত হয় তারা। বর্ষাকালে ব্যারেজের সব দরজা বন্ধ রাখায় ডুবে থাকে জেলার রাধানগর ইউনিয়নের দুর্গাপুরসহ কয়েকটি গ্রামের জমি ও পথ-ঘাট। ফলে বোরো ছাড়া অন্য কোনো ফসল চাষ করতে পারেনা তারা। বর্তমানে বিকল্প উপায়ে জমিতে সেচ দেয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে চাষিদের। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার নদীটির পানি মারাত্মকভাবে শুকিয়ে গেছে। নদী পুনঃখননের দাবি তুলেছে তারা।
ব্যারেজের উজানে ১০ কিলোমিটার নদী পুনঃখননের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পুনঃখনন হলে চাষীরা আবারো সেচ সুবিধা পাবেন বলেও আশ্বস্ত করে তারা।