টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে রাজধানীর কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাতেও দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি আবার কখনও মুষলধারে। বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগণ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ সারা দিনই কম বেশি বৃষ্টি হতে পারে। দিন-রাত বৃষ্টিতে সড়কের কোথাও কোথাও পানি জমে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। অনেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ছুটেছেন অফিসে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। বৃষ্টি থাকায় কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে যানবাহন সংকট। সুযোগ বুঝে রিকশা বা অটোরিকশাচালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ভারতের উড়িষ্যা উপকূলে সরে গিয়ে দুর্বল হবার পর সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। লঘুচাপের প্রভাবে চতুর্থ দিনেও সাতক্ষীরায় সকাল থেকে হালকা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
অবিরাম বৃষ্টিতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। আশাশুনি ও শ্যামনগরের বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুটের অধিক উচ্চতায় জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে শত শত বিঘা মৎস্য ঘের। ঝুঁকিতে রয়েছে জরাজীর্ণ ৩৫টি পয়েন্টে প্রায় ৬২ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ। গত ২৪ ঘন্টায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পটুয়াখালীতে ভারী বৃষ্টিপাতে ভোগান্তি পড়েছেন শ্রমজীবি মানুষ। পূর্নিমার জোয়ের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে জেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ক্ষেত।
লঘুচাপে উত্তাল কুয়াকটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। উপকূল দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পায়রা বন্দরসহ সব বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে মাছধরা ট্রলারগুলোকে ।