টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
- / ১৬১৯ বার পড়া হয়েছে
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আবারও তীরে এসে তরী ডুবালো বাংলাদেশ। সম্ভাবনার জানান দিয়ে হারলো ভারতের কাছে। বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন এখন ধূসর। বৃথা গেছে লিটন দাসের ৬০ রানের ইনিংস। অ্যাডিলেডে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে ভারত। জবাবে শেষ বলের রোমাঞ্চে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
সাত বছর পর আবারও অ্যাডিলেড রূপকথা লেখার সুযোগ পেয়েও, হেলায় নাকি ভাগ্যদোষে হারলো– তা বাংলাদেশই জানে। শেষবার ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এ মাঠে ইংল্যান্ডকে নাস্তাবুদ করেছিলো বাংলাদেশ। একই মাঠে এবার পরাজিত সৈনিক সাকিবের দল। বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে প্রথমবার সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছে টাইগাররা।
২০১৫তে সেঞ্চুরি দিয়ে অ্যাডিলেড মহাকাব্য লিখেছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এদিন হতে পারতেন লিটন কুমার দাস। তার আগ্রাসী ব্যাটে নাকাল ভারতীয় শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ।
ভুবনেশ্বর, আর্শদিব কি মোহাম্মদ সামী! ১৮৫ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে কাউকেই ছাড় দেননি লিটন। দানবীয় ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলেছেন ২১ বলে। সঙ্গে ৩৩ ম্যাচ পর ওপেনিংয়ে পঞ্চাশোর্ধ জুটি বাংলাদেশের।
শান্ত ব্যাট হাতে তখনও শান্ত, তবে অশান্ত লিটন। তার দনবীয় ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের সঙ্গে কেঁদেছে অ্যাডিলেডের আকাশ। বেরসিক বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা।
খানিক বাদেই থেমেছে বৃষ্টি, সঙ্গে লিটন ঝড়ও। ব্যক্তিগত ৬০ রানে দুর্ভাগ্যের শিকার লিটন। ১৬ ওভারে ১৫১ রানের নতুন লক্ষ্যে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। দ্রুত ফিরে দলকে বিপদে ফেলে গেছেন শান্ত ও আফিফ।
আসকিং রেটের সাথে পাল্লা দিতে পারেননি সাকিব, ইয়াসির আলী ও মোসাদ্দেক সৈকত। তবে, শেষ ওভার পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন সোহান ও তাসকিন।বাকি গল্পটা সবার জানা।
এর আগে তাসকিনের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে শুরুতেই উত্তাপ ছড়িয়েছে হাইভোল্টেজ ম্যাচে। তবে, বাজে ফিল্ডিংয়ে পূর্ণতা পায়নি। পরের ওভারেই নিজের প্রায়শ্চিত্ত করলেন হাসান মাহমুদ। ২ রানে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে।
শুরুতে খাবি খেলেও সময়ের পাল্লা দিয়ে খেলেছেন লুকেশ রাহুল ও বিরাট লোহলি। ৩১ বলে আসরে প্রথম ফিফটি লুকেশ রাহুলের। ভয়ংকর হয়ে উঠা রাহুলকে ফিরিয়ে মোমেন্টাম ফেরান সাকিব আল হাসান। তবে, খানিক বাদে সে আনন্দে জল ঢেলে দেন মোস্তাফিজ নুরুল হাসান সোহান, সূর্যকুমার যাদবের দুবার ক্যাচ ফেলে।
জীবন পেয়ে আগ্রাসী যাদব। তবে ভয়ংকর হতে দেন নি সাকিব। ৩০ রানে যাদবকে ফিরিয়ে আবারও বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তবে আটকানো যায়নি বিরাট কোহলিকে। পান্ডিয়া, কার্তিক ও আক্সাররা যখন আসা যাওয়ার মিছিলে তখব ব্যাট হাতে সাবলীল কিং কোহলি। তার অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে ভারত।
দলে ফেরার ম্যাচ বেশ খরুচে ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ৩ উইকেট পেলেও রান প্রতিযোগিতায় শরিফুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন হাসান। তাসকিন, সাকিব, মোস্তাফিজরা ১২ ওভারে যেখানে দিয়েছেন ৭৯ রান, সেখানে ৮ ওভারে শরিফুল, হাসান মাহমুদ দিয়েছেন ১০৪ রান।