০৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ড. তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর বাসা ১৫ বছরেও বাতিল করেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩
  • / ১৬২০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি বাসার বরাদ্দ বাতিল করেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে আদালত অধ্যাপক মিয়া মো. মহিউদ্দিনকে দণ্ডাদেশ দেন। কিন্তু তারপরও মিয়া মহিউদ্দিনের নামে বরাদ্দকৃত বাসা বহাল রাখে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. তাহেরের মেয়ে বলছেন, সরকারী চাকরি আইনের লঙ্ঘন করে মহিউদ্দিনকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে একই বিভাগের তৎকালীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে আছেন ড. মিয়া মহিউদ্দিন।
(তাহের/মহিউদ্দিন ফটো-১)

ড. তাহের হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকার প-৮ নম্বর ভবনের তিনতলার বাসায় থাকতেন অধ্যাপক মিয়া মহিউদ্দিন ও তার পরিবার। বাসাটি তার নামেই বরাদ্দ। মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পরও ২০২৩ সালের ২২মে পর্যন্ত মিয়া মহিউদ্দিনের নামেই ছিল বাসাটি। তবে সরকারি চাকরি আইনের ৪২ ধারা লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সুযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ ড. তাহেরের মেয়ের। (ফুটেজ-১ ও ল’ ফটো-২)

বিধি মোতাবেক মিয়া মহিউদ্দিনকে বাসার সুবিধা দেয়ার দাবি করে রেজিস্ট্রার বলছেন, এখন চূড়ান্ত বরখাস্ত হওয়ায় চাকরির আনুষঙ্গিক সুবিধা আর পাবেন না তিনি। (লেটার ফটো)

এদিকে ২০০৬ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম ২৩ নম্বর এই বাসার ম্যানহোল থেকে ড. তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই তার নামে বরাদ্দ বাসাটি পরিত্যক্ত। বাসাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগও নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানীয় বাসিন্দা
অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালতও। তবে এ মামলায় অপর দুই আসামী যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ড. তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর বাসা ১৫ বছরেও বাতিল করেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ০৫:৩৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারি বাসার বরাদ্দ বাতিল করেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালে আদালত অধ্যাপক মিয়া মো. মহিউদ্দিনকে দণ্ডাদেশ দেন। কিন্তু তারপরও মিয়া মহিউদ্দিনের নামে বরাদ্দকৃত বাসা বহাল রাখে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ড. তাহেরের মেয়ে বলছেন, সরকারী চাকরি আইনের লঙ্ঘন করে মহিউদ্দিনকে অবৈধ সুবিধা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ২০০৮ সালের ২২ মে একই বিভাগের তৎকালীন সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর থেকেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে আছেন ড. মিয়া মহিউদ্দিন।
(তাহের/মহিউদ্দিন ফটো-১)

ড. তাহের হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকার প-৮ নম্বর ভবনের তিনতলার বাসায় থাকতেন অধ্যাপক মিয়া মহিউদ্দিন ও তার পরিবার। বাসাটি তার নামেই বরাদ্দ। মৃত্যুদণ্ডের আদেশের পরও ২০২৩ সালের ২২মে পর্যন্ত মিয়া মহিউদ্দিনের নামেই ছিল বাসাটি। তবে সরকারি চাকরি আইনের ৪২ ধারা লঙ্ঘন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সুযোগ দিয়েছে বলে অভিযোগ ড. তাহেরের মেয়ের। (ফুটেজ-১ ও ল’ ফটো-২)

বিধি মোতাবেক মিয়া মহিউদ্দিনকে বাসার সুবিধা দেয়ার দাবি করে রেজিস্ট্রার বলছেন, এখন চূড়ান্ত বরখাস্ত হওয়ায় চাকরির আনুষঙ্গিক সুবিধা আর পাবেন না তিনি। (লেটার ফটো)

এদিকে ২০০৬ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম ২৩ নম্বর এই বাসার ম্যানহোল থেকে ড. তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই তার নামে বরাদ্দ বাসাটি পরিত্যক্ত। বাসাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগও নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়

স্থানীয় বাসিন্দা
অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালতও। তবে এ মামলায় অপর দুই আসামী যাবজ্জীবন সাজা খাটছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে।