ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৮ লেইনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার
- আপডেট সময় : ১১:১৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১৯৮৭ বার পড়া হয়েছে
এবার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ৮ লেইনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ৮ লেইনের মুল মহাসড়কের সঙ্গে থাকবে আরো চার লেইনের সার্ভিস সড়ক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, খুব শিঘ্রই শুরু হবে কাজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি বাড়বে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের ধীরগতি আর বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দূরদর্শিতার অভাব মেটাতে না পারলে, লেইন বাড়িয়েও সুফল আসবে না।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চারলেইনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত লাইফ টাইম নির্ধারণ করা প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। কিন্তু কাজ শেষ হতে সময় লাগে ২০১৭। দশ বছরে ৩০০ মিলিয়ন যানবাহন চলাচলের সক্ষমতার এই মহাসড়কটি উদ্বোধনের আগেই ধারণক্ষমতার বেশি গাড়ি চলাচল করে। এখন নিয়মিত সংস্কার করে চালু রাখা হচ্ছে দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন খ্যাত মহাসড়কটি। মেয়াদউত্তীর্ণ মহাসড়কটি এবার ৮ লেইনে উন্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফুটেজ-১ প্রাথমিক ড্রইং-ডিজাইন শেষে এখন চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই। যা শেষ হলেই শুরু হবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের ৯২ ভাগ আমদানী রপ্তানী কার্যক্রমও মেয়াদউত্তীর্ণ মহাসড়কের ওপর নির্ভরশীল। ধারণক্ষমতার বেশি যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লেগে থাকে। ফলে গতি হারাচ্ছে জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহাসড়কের লেইন বাড়ানো দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তাই যত দ্রুত সম্ভব প্রকল্পের কাজ শুরু করার পাশাপাশি জংশনগুলোতে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। দৈনিক ১৮ হাজার যানবাহন চলাচলে সক্ষম ২৩১ কিলোমিটার লম্বা দেশের প্রথম এই মহাসড়কে এখন চলছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার। উৎসব পার্বনে যার সংখ্যা বাড়ে কয়েকগুন। এই বাস্তবতায় লেইন বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।