তিন দশকে সাগরে ডুবে উপকূলের প্রায় দেড় হাজার জেলের মৃত্যু

- আপডেট সময় : ০৬:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
- / ১৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
সুন্দরবন অঞ্চলে ইলিশ শিকার ও শুটকি মৌশুমের সময় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়াই গভীর সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর এলাকা মাছ ধরতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্যোগে জীবন দিতে হয় জেলেদের। সরকারের নানা প্রকল্প থাকলেও মাঠ পর্যায়ে সুবিধা পায় না বলে অভিযোগ করেছেন জেলেরা। আর মৎস্য অধিদপ্তর বলছেন, সমুদ্রগামী জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি সুরক্ষাও দিচ্ছে তারা।
জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ছাড়াই গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায় সুন্দরবন অঞ্চলের ফিশিং বোটগুলো।শতকরা দু-একটা নৌকায় লাইফ জ্যাকেট থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। ফলে সাগরে দুর্যোগের কবলে পড়লে জীবন বাঁচানোর ন্যূনতম সুযোগও থাকে না তাদের।কেউ কেউ ভাগ্যের জোরে তীরে ফিরতে পারলেও অনেকেই হারান প্রাণ। গত তিন দশকে সাগরে ডুবে উপকূলের প্রায় দেড় হাজার জেলের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতি বছর ইলিশ আহরণ ও শুটকি মৌশুমে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় লক্ষাধিক জেলে জীবিকার সন্ধানে যান। বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আর সামুদ্রিক মাছ শিকারে যেতে জাল-নৌকা নিয়ে এবারও প্রস্তুতি তারা। তবে দুর্যোগের ভয় থেকেই যাচ্ছে জেলে ও ট্রলার মালিকদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষায় সব রকমের ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রজেক্ট প্রকল্পের উপ-পরিচালক জানান, সমুদ্রগামী জেলেদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট বা বয়া দিয়ে সাহায্য করা হয়। পাইলট আকারে ৫৪ হাজার জেলের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন তারা।
সমুদ্রগামী জেলেদের সুরক্ষা ও জীবন মান উন্নায়নে সঠিক উদ্যোগ না নেয় হলে, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির স্বপ্ন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।