তিনবছর ধরে অলস পড়ে থাকার পর তিনটি কন্টেইনার জাহাজ অবশেষে নিলামে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু
- আপডেট সময় : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
তিনবছর ধরে অলস পড়ে থাকার পর চট্টগ্রাম-পানগাঁও রুটে পরিবহনের জন্য কেনা তিনটি কন্টেইনার জাহাজ অবশেষে নিলামে বিক্রি করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এজন্য বন্দর ও ডিজি শিপিংয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণেই গচ্ছা যেতে বসেছে অর্ধশত কোটি টাকার একটি সম্ভাবনাময় প্রকল্প।
দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর। আমদানী পণ্যের ৮৫ ভাগ আর রপ্তানী পণ্যের ৮০ ভাগেরও বেশি পরিচালিত হয় এই বন্দর দিয়ে। গেল বছর শুধু কন্টেইনারে বহণযোগ্য পণ্যের হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩০ লাখ টিউসের বেশি। যার অন্তত ৮০ শতাংশই ঢাকা কেন্দ্রিক।
সড়ক, নৌ আর রেল- তিন পথেই বন্দর নগরীর সাথে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলেও সক্ষমতা আর অবকাঠামোগত সুবিধার সীমাবদ্ধতায় সড়ক পথকেই বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তাই সড়কপথে পণ্য পরিবহনের চাপ কমাতে ৭ বছর আগে নারায়ণগঞ্জের পানগাঁওয়ে কন্টেইনার টার্মিনাল চালু করে সরকার। কথা ছিলো চট্টগ্রাম সমুদ্রে মাদার ভেসেল থেকে খালাসের পর ছোট জাহাজে কন্টেইনারগুলো সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হবে পানগাঁওয়ে। প্রথম পর্যায়ে অভ্যন্তরীন এই রুটে কন্টেইনার পরিবহনের জন্য তিনটি রিকন্ডিশণ্ড জাহাজ কেনে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে আমদানী করা জাহাজগুলো প্রথম পর্যায়ে নিজেরাই চালানোর উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। সেখানে ব্যর্থ হয়ে একটি বেসরকারী কোম্পানীকে ভাড়া দেয়া হয় জাহাজগুলো। কিন্তু তারাও ব্যর্থ হওয়ায় দু’বছরের মাথায় বন্দরকে তা ফেরত দেয়। এরপর টানা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে জাহাজগুলো বসিয়ে রাখা হয়েছে কর্ণফূলীতে। এখন এগুলো পরিত্যাগের সময় হয়েছে বলে জানান বন্দর সচিব।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বর্তমানে এই রুটটিতে ৯টি বেসরকারী কোম্পানির একাধিক কন্টেইনার জাহাজ চলাচল করলেও শুধু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বন্দরের নিজস্ব তহবিল থেকে কেনা জাহাজগুলো পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে গচ্ছা যেতে বসেছে অর্ধশত কোটি টাকা। আমদানী ও রপ্তানী হওয়া কন্টেইনারবিহীন খোলা পণ্যের ৭৫ শতাংশেরও বেশী অভ্যন্তরীন রুটে পরিবহন করা হচ্ছে নৌ-পথে। অথচ কন্টেইনারবাহী পণ্য এখনো সড়কপথের ওপরই নির্ভরশীল। ফুটেজ-৪