তিস্তা অববাহিকায় বন্যার উন্নতি
- আপডেট সময় : ০৫:৪১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৫৮৫ বার পড়া হয়েছে
তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও প্লাবিত হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের চরাঞ্চলগুলো। এদিকে, পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ বাড়ছে। চরাঞ্চলে চাষ করা বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি কমে অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের অববাহিকার নিম্নাঞ্চল চরাঞ্চলগুলো। কারণ নদ-নদীর পানি আগের মতোই প্রমত্তা।
পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে কাঁচা সড়ক ও আমন ক্ষেত। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বৃষ্টি কমে আসায় দ্রুতই নামছে তিস্তার পানি। আপতত বড় বন্যার আশংকা নেই বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
একদিনের ব্যবধানে লালমনিরহাটে আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ২৪ ঘন্টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটারের নিচে বইছে। পরে জোয়ারে আবার পানির সীমা বেড়ে গিয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চল এলাকায়।
স্থায়ী বন্যায় রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বন্যা কমলেও চরাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। রংপুরের গঙ্গাচড়া কাউনিয়া ও পীরগাছার নিম্নে অঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আগাম সবজি ও রোপা আমনের ক্ষেতে। হাঁটু পানিতে ডুবে আছে ঘর-বাড়িসহ উঠতি ফসল। দুপুরে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা বইছে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিন্টমিটার ওপর দিয়ে। রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার ৪০টি চরাঞ্চলে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় বসতভিটা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও জেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে বাড়ছে বন্যা আতঙ্ক।