তিস্তার ভাঙ্গনে এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন নীলফামারীর এক হাজার বিঘা কৃষিজমি
- আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৬৩ বার পড়া হয়েছে
তিস্তার ভাঙ্গনে এরইমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ও ঝাড় সিংহেশ্বর মৌজার এক হাজার বিঘা কৃষিজমি। দু’সপ্তায় দেড় হাজার মিটার এলাকা ভেঙ্গে বসতভিটার কাছে চলে এসেছে নদীর পানি। ফলে হুমকিতে ওই দুই মৌজার পাঁচশতাধিক বসতভিটাসহ আরো কয়েক হাজার বিঘা জমি।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খাড়াপাড়া গ্রামের সম্পন্ন কৃষক মফিকুল ইসলাম। তিস্তা নদীর পাড়ে ১২ বিঘা ফসলী জমি ছিল তার আয়ের একমাত্র উৎস। এবারের বর্ষা মৌসুমে তিস্তার ভাঙ্গনে এক সপ্তায় মফিকুলের ১২ বিঘা জমিই বিলীন হওয়ায় রাতারাতি নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। তার মতো একই অবস্থা অন্যদেরও। প্রতিদিন নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে চলে এসেছে বসতভিটার কাছে। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু রক্ষায় এখন উদ্বিগ্ন সবাই।
মফিকুলের মতো পূর্বছাতনাই ও ঝাড় সিংহেশ্বর মৌজার শত শত কৃষক পরিবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন ধান, গম,ভুট্টা, পিঁয়াজ-মরিচসহ বিভিন্ন ফসল। কিন্তু ফসল ঘরে তোলার আগেই ভাঙ্গনে জমিসহ ফসল নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ঋণশোধ করা নিয়েও চিন্তিত তারা।
এবছর চার দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। কিন্তু পানি কমার সাথে সাথে শুরু হয় নদী ভাঙন। ফসলী জমির পর এখন বসভিটাও ভাঙনের হুমকিতে পড়ায় আতংকে পাঁচ শতাধিক পরিবার।
দ্রুত পাইলিংয়ের মাধ্যমে ভাঙনরোধের ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ভাঙনরোধের প্রকল্প তৈরিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও অর্থবরাদ্দ পাওয়া গেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করে ঘরবাড়ি নির্মাণে অর্থ সহায়তার পাশাপাশি সবাইকে ত্রাণের আওতায় নেয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভাঙন থেকে বসতভিটা ও ফসলী জমি রক্ষায় দ্রুত স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদক্ষেপের আশায় পথ চেয়ে রয়েছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ।