তৃতীয় দিনে রাজধানী কিয়েভে ইউক্রেন ও রুশ সৈন্যদের তুমুল লড়াই
- আপডেট সময় : ০৮:১০:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনে হামলার তৃতীয় দিনে রাজধানী কিয়েভে রুশ স্পেশাল ফোর্সের সাথে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর। আত্মসমর্পণ না করে দেশ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ পর্যন্ত সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার এবং ইউক্রেনের ১৯৮ জন সৈন্য।
শনিবার সকাল থেকেই চলছে গোলাবর্ষণ ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর সাথে রুশ স্পেশাল ফোর্সের চলছে তুমুল লড়াই। ইউক্রেন সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে তুলে দিয়েছেন ১৮ হাজার মেশিনগান।
কিয়েভসহ ইউক্রেনের প্রধান শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে অগ্রসর হচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ঘিরে ফেলা হয়েছে রাজধানী কিয়েভের চারদিক। যেকোন সময় হতে পারে পতন। এক বিবৃতিতে কিয়েভ সরকার জানায়, এ মুহূর্তে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় চলছে লড়াই।
আত্মসমর্পণ না করে দেশ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সাড়ে তিন হাজার সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। এছাড়াও রাশিয়ার ১৪টি যুদ্ধবিমান, ৮টি হেলিকপ্টার ও ১০২টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এদিকে রুশ সেনাবাহিনীর হাতে ইউক্রেনের প্রাণ হারিয়েছে ১৯৮ জন । এবং আহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।
কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইউক্রেনের দক্ষিণে মেলিটপোল শহর দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। এসময় শহরে টহলরত রুশ সেনাদের স্বাগত জানায় এলাকার বাসিন্দারা।
এরইমধ্যে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভ সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো যখন ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তায় ব্যর্থ, তখন রোমানিয়ার ইউক্রেন সীমান্তে ৫০০ সেনা পাঠাচ্ছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানায়, ইউক্রেনকে তারা ‘৩০০ মিলিয়ন ইউরোর অতিরিক্ত বাজেট সহায়তা’ এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক উপাদান সরবরাহ করবে