তৈরী পোশাক শ্রমিকদের করোনার টিকাগ্রহণের খোঁজ নিচ্ছে বিদেশী বায়াররা
![](https://www.satv.tv/wp-content/uploads/2023/10/lazy-Copy.jpg)
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
তৈরী পোশাক শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন কিনা তাও জানতে চাইতে শুরু করেছে বিদেশী বায়াররা। এই বাস্তবতায় দেশের রপ্তানী বাণিজ্য ধরে রাখতে পোশাক শ্রমিকদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন এই খাতের উদ্যোক্তারা। বিজিএমইএ বলছে, ৪০ লাখ শ্রমিককে টিকার আওতায় আনতে সরকার চাইলে জনবল এমনকি লজিস্টিক সাপোর্ট দিতেও প্রস্তুত তারা। আর সিভিল সার্জন বলছেন, সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী টিকা এখনো সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। পর্যাপ্ত টিকা এলেই রপ্তানীমুখি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আগ্রাধিকার দিতে রূপরেখা তৈরী করা হবে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে টানা এক মাস লকডাউনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও সংক্রমণ বাড়লে ফের কঠোর লকডাউনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে সরকার। সংক্রমণের এই খবর আন্তর্জাতিক বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন বিদেশী ক্রেতারা। তাই অন্যান্য নানান শর্তের সঙ্গে শ্রমিকদের টিকার বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন তারা। এই বাস্তবতায় নতুন করে বাজার হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই রপ্তানীমুখি শিল্প উদ্যোক্তাদের।
তৈরী পোষাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, তাদের সদস্যভুক্ত সবগুলো কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্ত্বার স্বার্থে আলাদা আলাদা মেডিকেল টিম আছে। এছাড়া গার্মেন্ট পাড়াগুলোতে একাধিক বিজিএমইএ হাসপাতালও আছে। স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য সবকিছুই উন্মুক্ত করে দিতে প্রস্তুত তারা।
আর স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে সরকারের। কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা না আসায় তা সম্ভব হচ্ছে না এখন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল শিল্পের নাম তৈরী পোষাক। ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রায় ৩ হাজার গার্মেন্টসে কমবেশী ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে।অথচ করোনার বিস্তার ঠেকাতে জনবহুল শিল্পগুলো চালাতে নিরুৎসাহিত করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু রপ্তানী বাণিজ্য সচল রাখতে গার্মেন্টস খোলা রাখার বিকল্প দেখছেন না এই খাতেই উদ্যোক্তারা। তাই লকডাউনের চেয়ে টিকাদান কর্মসুচীকে তরান্বিত করার আহবান সংশ্লিষ্টদের।