দিনাজপুরে তিন শতাধিকের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে
- আপডেট সময় : ০২:৩১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
দিনাজপুরে তিন শতাধিকের মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। এর মধ্যে কৃষি জমি ধ্বংস করে গড়ে উঠছে নতুন নতুন ইটভাটা। এসব ভাটায় মাটির উর্বর অংশ ব্যবহৃত হওয়ার ফলে কমছে ফসলের উৎপাদন। এছাড়া, চিমনি থেকে নিঃসরিত কার্বন ডাই অক্সাইড,সালফারসহ বিভিন্ন উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুড়ছে কয়লা, চিমনি দিয়ে নিঃসরিত কালো ধোঁয়া। নিয়ম অনুযায়ী চিমনির উচ্চতা না থাকায় নিঃসরিত ধোঁয়া মিশে যাচ্ছে বায়ুমণ্ডলে।ক্ষতি হচ্ছে ফসলের,ক্ষতি হচ্ছে মানব শরীরের।এসব ইটভাটায় জমির টপ সয়েল বা উর্বর অংশ ব্যবহৃত হয়ে কমছে মাটির উৎপাদনশীলতা। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগছে মানুষ।
জেলায় সর্বাধিক ইটভাটা রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলায়। যার সংখ্যা প্রায় ৫০’এরও অধিক।প্রশাসন জানালো, মাঝে মধ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। আর পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে খুব শীঘ্রই এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্রপস ফিজিওলজি এন্ড ইকোলজি বিভাগের শিক্ষক জানালেন, ইটভাটার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশ ও প্রতিবেশ। বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে মরুময়তার আশঙ্কা করছেন তিনি।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার একটি প্রতিবেদনে বলছে ইট ভাটার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি হারিয়েছে। তবে দিনাজপুরে এর পরিমাণ কত তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।