দিল্লি পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে
- আপডেট সময় : ০১:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের প্রকোপে রাজধানী দিল্লি পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। দিল্লির হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু দিল্লীতেই মারা গেছেন ৩৪৮ জন। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩১ জন। দিল্লিতে এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৯২ হাজার। ভারতে এপর্যন্ত মোট মৃত্যূ, ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২০ জন।
করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত ভারত। রাজধানীতে চলছে লকডাউন। তারপরেও করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। শুধু সংক্রমণই নয়, মৃত্যুর সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। হাসপাতালগুলো বলছে, দ্রুত অক্সিজেনের সংগ্রহ বাড়ানো না গেলে রোগীদের জীবন তীব্র সংকটে পড়বে। হাসপাতালে বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ওষুধ চেয়ে রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে ছেয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
এদিকে, মৃত্যু বাড়তে থাকায় মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য জায়গা হচ্ছে না দিল্লির শ্মশান কিংবা কবরস্থানগুলোতে। মরদেহ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খাচ্ছে মৃতের পরিবারগুলো। দিল্লিতে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্মশানের বাইরে লাইনেও জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে। বাধ্য হয়ে বাড়িতেই প্রিয়জনের মরদেহ রেখে দিতে হচ্ছে।
ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি আসলে কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং ভারতে এখন সংক্রমণের যে ভয়াবহ ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ চলছে তার জন্য নতুন শনাক্ত এই করোনা ভাইরাসটি কতটা দায়ী সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। বিজ্ঞানীরা এখনও জানতে পারেননি যে ভারতে প্রথম শনাক্ত এই করোনা ভাইরাসটি অন্যগুলোর তুলনায় দ্রুত সংক্রমণ ঘটায় কিনা, বা এটির বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর কিনা।
ভারতের উচ্চ জনসংখ্যা এবং ঘনবসতি মিউটেশনের জন্য এই ভাইরাসকে আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে, বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে এখন যে উঁচু মাত্রায় সংক্রমণ দেখা যাচেছ – তার পেছনে বিশাল গণ-জমায়েত এবং সেই সাথে মাস্ক-না-পরা এবং সামাজিক দূরত্ব অগ্রাহ্য করার মত আচরণও কাজ করতে পারে বলেও মনে করেন তারা।