১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দুঃস্বপ্নের সাক্ষী বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুঃস্বপ্নের সাক্ষী বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ। ব্যাটে, বলে কিংবা ফিল্ডিংয়ে যাচ্ছে তাই অবস্থা। পুরো বিশ্বকাপে লিটন-সৌম্য মিলে যা রান করেছেন তার চেয়ে বেশি করেছেন একজন জস বাটলার। আসরের প্রতিটি ম্যাচে ছয় ব্যাটার প্রথম বলেই ফিরেছেন কোন রান না করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রান। ওপেনিং জুটিতে সেরা ৪০, সেটাও লঙ্কানদের বিপক্ষে।

অনেক স্বপ্নের এই বিশ্বকাপ। আকাশচুম্বী আশা নিয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। অথচ পুরোটাই জুড়ে হতাশার চাদরে ঢাকা।

শুরুটা হোক ব্যাটারদের দিয়ে। প্রতিটা ম্যাচে ব্যর্থ ওপেনাররা। জুটিতে নেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১। লিটন দাস-নাঈম শেখরা আসা যাওয়ায় নিয়মিত।

প্রথম পর্বসহ দুই হাফসেঞ্চুরি নাঈমের। কিন্তু লিটনের কপালে তাও জোটেনি। টুর্নামেন্ট জুড়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান। ব্যর্থতার তালিকায় সৌম্য সরকারকে না রাখলে কি চলে? ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ২৭ রান। লিটন-সৌম্য মিলে করেছেন ১৬০ রান। ব্যর্থতার তালিকায় আফিফও। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও একই পথেরই পথিক। সবাই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি।

নাঈমকে নিয়ে লিটন সুপার ‍টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচে তুলেছেন ১০৮ রান। সেখানে এক ম্যাচ কম খেলে ২১৪ রানে আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার জস বাটলারের। পাওয়ার প্লেতে যাচ্ছে তাই পারফরম্যান্স। যা টি-টুয়েন্টির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে লঙ্কানদের বিপক্ষে।

শূন্যরানে ফেরার মিছিলে ৯ ক্রিকেটার। যার মধ্যে গোল্ডেন ডাক ৬টি। সবগুলোই ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল যে স্পিনাররা, হতাশ করেছেন তারাও। প্রথম পর্বে ওমান, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় পর্বে মেহেদী-সাকিব-নাসুমদের ঝুলিতে মাত্র ৯ উইকেট। তুরুপের তাস মোস্তাফিজ ছিলেন নখ-দন্তহীন, ৮ উইকেট নিলেও যার ৬টি প্রথম পর্বে। ২ উইকেট পেয়েছেন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ক্যাচ মিসের মহড়ায় ধারাবাহিকভাবে নৈপুন্য দেখিয়েছে টাইগাররা। সুপার টুয়েলভে ৯টি ক্যাচ ধরতেই পারেনি ক্রিকেটাররা।

এতো বাজে পারফরম্যান্সে কি ম্যাচ জেতা যায়? সবকিছু মিলে বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে ভঙ্গুর এক দলের নাম….. বাংলাদেশ…..।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুঃস্বপ্নের সাক্ষী বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ

আপডেট সময় : ০৮:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

দুঃস্বপ্নের সাক্ষী বাংলাদেশের এবারের বিশ্বকাপ। ব্যাটে, বলে কিংবা ফিল্ডিংয়ে যাচ্ছে তাই অবস্থা। পুরো বিশ্বকাপে লিটন-সৌম্য মিলে যা রান করেছেন তার চেয়ে বেশি করেছেন একজন জস বাটলার। আসরের প্রতিটি ম্যাচে ছয় ব্যাটার প্রথম বলেই ফিরেছেন কোন রান না করে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১ রান। ওপেনিং জুটিতে সেরা ৪০, সেটাও লঙ্কানদের বিপক্ষে।

অনেক স্বপ্নের এই বিশ্বকাপ। আকাশচুম্বী আশা নিয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ। অথচ পুরোটাই জুড়ে হতাশার চাদরে ঢাকা।

শুরুটা হোক ব্যাটারদের দিয়ে। প্রতিটা ম্যাচে ব্যর্থ ওপেনাররা। জুটিতে নেই পঞ্চাশোর্ধ্ব রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১। লিটন দাস-নাঈম শেখরা আসা যাওয়ায় নিয়মিত।

প্রথম পর্বসহ দুই হাফসেঞ্চুরি নাঈমের। কিন্তু লিটনের কপালে তাও জোটেনি। টুর্নামেন্ট জুড়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান। ব্যর্থতার তালিকায় সৌম্য সরকারকে না রাখলে কি চলে? ৪ ম্যাচে সংগ্রহ ২৭ রান। লিটন-সৌম্য মিলে করেছেন ১৬০ রান। ব্যর্থতার তালিকায় আফিফও। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরাও একই পথেরই পথিক। সবাই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি।

নাঈমকে নিয়ে লিটন সুপার ‍টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচে তুলেছেন ১০৮ রান। সেখানে এক ম্যাচ কম খেলে ২১৪ রানে আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার জস বাটলারের। পাওয়ার প্লেতে যাচ্ছে তাই পারফরম্যান্স। যা টি-টুয়েন্টির সঙ্গে একেবারেই বেমানান। সর্বোচ্চ ৪১ রান এসেছে লঙ্কানদের বিপক্ষে।

শূন্যরানে ফেরার মিছিলে ৯ ক্রিকেটার। যার মধ্যে গোল্ডেন ডাক ৬টি। সবগুলোই ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল যে স্পিনাররা, হতাশ করেছেন তারাও। প্রথম পর্বে ওমান, পাপুয়া নিউগিনি ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় পর্বে মেহেদী-সাকিব-নাসুমদের ঝুলিতে মাত্র ৯ উইকেট। তুরুপের তাস মোস্তাফিজ ছিলেন নখ-দন্তহীন, ৮ উইকেট নিলেও যার ৬টি প্রথম পর্বে। ২ উইকেট পেয়েছেন শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ক্যাচ মিসের মহড়ায় ধারাবাহিকভাবে নৈপুন্য দেখিয়েছে টাইগাররা। সুপার টুয়েলভে ৯টি ক্যাচ ধরতেই পারেনি ক্রিকেটাররা।

এতো বাজে পারফরম্যান্সে কি ম্যাচ জেতা যায়? সবকিছু মিলে বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে ভঙ্গুর এক দলের নাম….. বাংলাদেশ…..।