দেশীয় চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ
- আপডেট সময় : ০৬:১৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। বিশ্ববাজার এখন ‘ভেনামি’ চিংড়ির দখলে। পরীক্ষামূলকভাবে উচ্চফলনশীল এই বিদেশি জাত চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন চাষি ও রপ্তানিকারকরা। এদিকে, গবেষকরা বলছেন, অনুমতি দেয়ার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল।
বিশ্ববাজারে কম দামের “ভেনামি চিংড়ি”র পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায়, গলদা ও বাগদা দিয়ে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না দেশের রপ্তানিকারকরা। এজন্য গত ২০ বছর ধরে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি চেয়ে আসছে ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ২০১৯ সালে এর অনুমতি দেয় সরকার।
থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আট লাখ ভেনামি চিংড়ি পোনা সম্প্রতি খুলনার পাইকগাছায় এক যৌথ প্রকল্পে অবমুক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ১৬ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদনের আশা করছে উদ্যোক্তারা। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে উৎপাদন কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় তারা।
কাঁচামালের অভাবে ইতোমধ্যেই দেশের ১০৫টির মধ্যে মাত্র ২৮টি হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান চালু আছে। এতে করে মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ চাহিদা মিটছে। প্রক্রিয়াজাতের খরচও বেশি হচ্ছে। এ পর্যায়ে ভেনামি চাষের বিকল্প নেই বলে মনে করে ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তবে গবেষকরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে উন্মুক্ত চাষের অনুমতি দেওয়ার আগে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
আগামী মৌসুমের আগে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে, রুগ্ন মৎস্য শিল্পের সুদিন ফিরবে বলে আশা করছে রপ্তানিকারকরা।