দেশে বাড়ছে রাসায়নিকের ব্যবহার
- আপডেট সময় : ০৪:০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
তৈরী পোশাক শিল্প, টেক্সটাইল, কসমেটিকস এমনকি ওষুধ শিল্পেও হাইড্রোজেন পার অক্সাইডসহ বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। এসব রাসায়নিক চট্টগ্রাম বন্দরসহ ২১টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ হ্যান্ডলিং করে। অথচ ভয়াবহ এই রাসায়নিক সম্পর্কে ধারণাই নেই কারো। শুধুমাত্র এ কারণেই ঘটেছে সীতাকুণ্ড ট্রাজেডি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই সতর্ক না হলে, ভবিষ্যতে আরো বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে দেশ।
প্রক্রিয়াজাতকরণের পর কেমিক্যালে হাইড্রোজেন পার অক্সাবইডের পরিমান যখন ৫ থেকে ৬ শতাংশের নিচে নেমে আসে, তখনই বিভিন্ন ধরণের শিল্পের কাঁচামালের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই রাসায়নিকটি যখন আমদানী করা হয়, তখন তার লেভেল থাকে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। যা ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় নিজে নিজেই বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম।
এমনই বিস্ফোরণে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় কেমিক্যাল ট্র্যাজেডির সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রামের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরণের রাসায়নিক পরিবহনে উন্নত বিশ্বে মেটাল ও কংক্রিটের মিশ্রণে বিশেষ ধরণের কন্টেইনার আর সংরক্ষণে বিশেষ স্থাপনার ব্যবহার হয়। এতে তাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাতাস প্রবাহের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হয়।
এই দুই বিশেষজ্ঞই মনে করেন, যেহেতু বাংলাদেশে রাসায়নিকটির যথেষ্ট ব্যবহার আছে; তাই তা পরিবহন ও রক্ষণাবেক্ষণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং ব্যবস্থা থাকা জরুরী।
চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়াও ২১টি কন্টেইনার ডিপোতেই রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার আনা নেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এসব রাসায়নিক সম্পর্কে সামান্য ধারণাও নেই কারো। আর ১০ টা সাধারণ কন্টেইনারের মতোই ভয়ংকর ঝুঁকিপুর্ণ এই কন্টেইনারগুলো হ্যান্ডলিং করা হচ্ছে।