দেশে সিমা ছাড়িয়ে বিদেশেও ঝিনাইদহের মিষ্টি পানের কদর
- আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের মিষ্টি পানের কদর শুধু দেশের মাটিতেই নয়, বিদেশেও রয়েছে। খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এ জেলার পানের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। পানের আবাদ করে প্রতিবছর পানচাষীরা লাভবান হলেও এবার পানের দাম কম হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। করোনা, ঘুর্ণিঝড় আম্পান আর বৃষ্টিকে দুষছেন তারা।
পুব আকাশে সুর্যের দেখা মেলার আগেই শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে পান নিয়ে হাজির হয় ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পানচাষীরা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক-ডাকে সরগরম হয়ে ওঠে বাজার। এই বাজারেই প্রতি বৃহস্পতি ও রোববারে বিক্রি হয় মিষ্টি জাতের এই পান। বৃহস্পতিবার বাজারে প্রতি ৮০ টি পান প্রকার ভেদে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কম। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকাররা এখান থেকে পান কিনে পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। কৃষকরা বলছেন, করোনা, ঘুর্ণিঝড় আম্পান আর বৃষ্টির কারণে এ বছর পানের ফলন হয়নি। এর উপর দাম কম যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি সুদমুক্ত ঋণের দাবী তাদের।
এদিকে নিরাপদ পান উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে সম্ভাব্য সব রকমের প্রযুক্তি সহায়তা ও কৃষকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ২ হাজার ৩’শ ৬৭ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন আশা করা হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার মেট্টিকটনের বেশি।