০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

নতুন আইনের সুফল পেতে হলে দূর করতে হবে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা: ব্যারিস্টার শফিক আহমদ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মৃত্যুদণ্ডের সাজার কারণে ধর্ষণের পরে হত্যার সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার বিধান না রাখাও নারী নির্যাতন রোধে জারি হওয়া নতুন আইনের বড় দুর্বলতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফওজিয়া করিম ফিরোজ। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিনের মতে ফাঁসির সাজার কারণে এখন ধর্ষণ করার আগে দশবার ভাববে অপরাধীরা। আর সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এসএ টিভিকে বলেন, নতুন আইনের সুফল পেতে হলে দূর করতে হবে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, দেখাতে হবে সাজার দৃষ্টান্ত।

সম্প্রতি সারাদেশে উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। গণমাধ্যমের সূত্রমতে প্রতিদিন গড়ে ১৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জন নারীকে।ধর্ষকদের পৈশাচিকতার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।এমন পরিস্থিতিতে আইন সংশোধন করে সরকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৮ এর ৯ ধারা সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজা করা হয় মৃত্যুদণ্ড। মামলা নিষ্পত্তিতে দেয়া হয় ১৮০ দিনের বাধ্যবাদকতা।

ফাঁসির সাজার বিধান রেখে নতুন এই আইনের প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখায় অপরাধ করার আগে দশবার ভাববে অপরাধীরা।প্রথম যখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৈরী হয়, তখন পরামর্শক কমিটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফওজিয়া করিম ফিরোজ। নতুন এই আইনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসএ টিভিকে বলেন, সাক্ষী ও ভূক্তোভোগীদের সুরক্ষা না দেয়াতে গুম খুন বাড়বে।

মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ বলেন, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সাজা নিশ্চিত ছাড়া পাশা হওয়া আইনের সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।সুপ্রিমকোর্টের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাধে বর্তমানে ১ লাখ ৭০ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নতুন আইনের সুফল পেতে হলে দূর করতে হবে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা: ব্যারিস্টার শফিক আহমদ

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

মৃত্যুদণ্ডের সাজার কারণে ধর্ষণের পরে হত্যার সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমনি ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার বিধান না রাখাও নারী নির্যাতন রোধে জারি হওয়া নতুন আইনের বড় দুর্বলতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফওজিয়া করিম ফিরোজ। তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিনউদ্দিনের মতে ফাঁসির সাজার কারণে এখন ধর্ষণ করার আগে দশবার ভাববে অপরাধীরা। আর সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এসএ টিভিকে বলেন, নতুন আইনের সুফল পেতে হলে দূর করতে হবে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, দেখাতে হবে সাজার দৃষ্টান্ত।

সম্প্রতি সারাদেশে উদ্বেগ জনক হারে বেড়েছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। গণমাধ্যমের সূত্রমতে প্রতিদিন গড়ে ১৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। চলতি বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জন নারীকে।ধর্ষকদের পৈশাচিকতার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ।এমন পরিস্থিতিতে আইন সংশোধন করে সরকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৮ এর ৯ ধারা সংশোধন করে সর্বোচ্চ সাজা করা হয় মৃত্যুদণ্ড। মামলা নিষ্পত্তিতে দেয়া হয় ১৮০ দিনের বাধ্যবাদকতা।

ফাঁসির সাজার বিধান রেখে নতুন এই আইনের প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সর্বোচ্চ সাজার বিধান রাখায় অপরাধ করার আগে দশবার ভাববে অপরাধীরা।প্রথম যখন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন তৈরী হয়, তখন পরামর্শক কমিটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ফওজিয়া করিম ফিরোজ। নতুন এই আইনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসএ টিভিকে বলেন, সাক্ষী ও ভূক্তোভোগীদের সুরক্ষা না দেয়াতে গুম খুন বাড়বে।

মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ বলেন, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত সাজা নিশ্চিত ছাড়া পাশা হওয়া আইনের সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।সুপ্রিমকোর্টের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাধে বর্তমানে ১ লাখ ৭০ হাজার মামলা বিচারাধীন রয়েছে।