নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে শুরু হলো খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২২
- আপডেট সময় : ০৯:২৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
আতশবাজি ও আলোর ঝলকানিতে নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে শুরু হলো খ্রিস্টীয় নববর্ষ-২০২২। বর্ষবরণের নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছর নতুনভাবে শুরু করার প্রত্যয় নিয়ে বিশ্ববাসী শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন একে অন্যকে।
জলবায়ু ও মানবিক সংকট, করোনা মহামারি আর বিভিন্ন দেশের মধ্যে পারস্পরিক বিরোধের মধ্যে বিদায় নিল ২০২১। বিধিনিষেধ সত্ত্বেও সব কিছু ভুলে নতুন দিনের আশায় নতুন বছর ২০২২ সালকে স্বাগত জানালো বিশ্ব।
ওমিক্রনের কারণে বড় ধরনের আয়োজন না থাকলেও বিশ্ববাসীর চোখ ধাধিয়েছে আতশবাজির ঝলকানি। লন্ডনের আকাশ ভরে উঠেছিল আতশবাজির আলোয় । কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এবং আতশবাজির রঙিন আলো দেখতে মধ্যরাতে রাস্তায় নেমেছিল বহু মানুষ।
অস্ট্রেলিয়াও আতশবাজির মধ্য দিয়েই স্বাগত জানিয়েছেন ২০২২ সালকে। সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউস নতুন বছরের প্রথম প্রহরে আতশবাজি ও আলো জ্বলজ্বল করে ওঠে। ৬ টন রঙিন আতশবাজির খেলা চলে দীর্ঘক্ষণ।
প্রতিবছর চোখ ধাধানো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিউইয়র্ক। কিন্তু এবার করোনা সংক্রমণ কমাতে নববর্ষ উদযাপনে নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের অফিসিয়াল ইভেন্টগুলোতে সীমাবদ্ধ রাখা হয় মানুষের সংখ্যা। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টায় পৌঁছানোর পরপরই একটি বল ফেলে নববর্ষের সূচনা ঘোষণা করে নিউইয়র্ক। আর সে দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করেন অনেকে। তবে বিশ্বের বহু দেশেই জমকালোভাবে নববর্ষের উদযাপন হয়নি। নিউজিল্যান্ডে এবার বন্ধ রাখা হয়েছিল আতশবাজির প্রদর্শন।
নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। সেইসাথে ওমিক্রন মোকাবেলায় সতর্ক থাকারও আহ্বাণ জানান তারা। ২০২২ সালে করোনা মহামারি অবসানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম। টিকা বৈষম্য কমিয়ে আনলে তা সম্ভব বলে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বাণীতে উল্লেখ করেন ডাব্লিউএইচও প্রধান। আধানম বলেন, মহামারির অবসান ঘটাতে যে সকল সরঞ্জাম প্রয়োজন, তা বিশ্বের কাছে আছে। আশাবাদের কথা বললেও সতর্কতার কথা উচ্চারণ করতে ভোলেননি ডব্লিউএইচও প্রধান। তিনি বলেন, বৈষম্য যত দীর্ঘ হবে, মহামারি তত বিলম্বিত হবে।
নতুন বছরে আঁধার কেটে দেখা দিক আশার আলো।কেটে যাক বিশ্বে করোনা মহামারির ধকল। এই শুভকামনায় শুরু হোক ২০২২।