নতুন বছরের শুরুতেই ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে
- আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
নতুন বছরের শুরুতেই ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে। শুধু হত্যাই নয়, পদ্মায় মাছ ধরতে নামলেই বাংলাদেশের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে জেলেদের অপহরণ করার অভিযোগও উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের বিরুদ্ধে। সীমান্তরক্ষীদের এমন বেপরোয়া মনোভাবে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে সীমান্তহত্যা বন্ধে দুই দেশেরই সরকারের মধ্যে আলাপ হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। তাই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এখন জরুরি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ১৪ জন বাংলাদেশী। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ২৩ দিনেই বিএসএফ’র গুলিতে মারা যান বাংলাদেশের ১৫ নাগরিক। এরমধ্যে কেবল চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ সীমান্তেই নিহত হয়েছে ৯ জন। কেবল হত্যাই নয়, সীমান্ত এলাকায় অপহরণও করা হচ্ছে শ্রমজীবীদের। এরমধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি রাজশাহীর গহমাবোনা এলাকায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরা সময় বাংলাদেশের সীমানায় অনুপ্রবেশ করে ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিএসএফ।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সীমান্তহত্যাকাণ্ড বা অপহরণের পেছনে কোনো দেশেরই সরকারের সমর্থন থাকার কথা নয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের মতে, সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ না থাকায় বিপথে পা দিচ্ছে তারা। সীমান্তহত্যা ও অপহরণের বিষয়ে বিজিবি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়। তবে তারা বলছে, দু’দেশেরই একশ্রেণীর মানুষ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে থাকে। তাই সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবি সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই সীমান্তহত্যার ক্ষেত্রে জিরোটলারেন্স নীতির কথা বলা হচ্ছে। এরপরও গেল বছর বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ বাংলাদেশী।