নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
- আপডেট সময় : ০২:২১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৯০০ বার পড়া হয়েছে
নিত্যপণ্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে নাভিশ্বাস থামছে না সাধারণ মানুষের। হালিতে ৮ টাকা বেড়ে এবার রেকর্ড করেছে ডিম। সপ্তার ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দেশী পেঁয়াজের কেজি এখন ৯০ টাকা। একইভাবে বেড়েছে রসুনও। বৃষ্টি-বন্যার অজুহাতে বাড়তি মুরগি ও মাছের দাম। সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে একলাফে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা এজন্য দূষছেন পাইকার ও আমদানীকারকদের কারসাজিকে। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি সাধারণ ক্রেতাদের।
দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধগতিতে যখন সবার হিমশিম অবস্থা, তখনও থামছে না মূল্যবৃদ্ধির এই প্রতিযোগিতা। বরং প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে একেকটি পণ্যের দাম। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাড়ছে পেঁয়াজ-রসুন, ডিম-মুরগী ও মাছের দাম।
দেশি পেঁয়াজ সরবরাহের পাশাপাশি দু’মাসে ৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির পরও থেমে নেই দাম। সরবরাহ ঘাটতি ও আমদানি খরচ বাড়ার অজুহাতে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। একইভাবে বেড়েছে রসুনের দামও।
পেঁয়াজ-রসুনের দাম বাড়ার জন্য খুচরা বিক্রেতারা দূষছেন পাইকার ও আমদানীকারকদের।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারে। আমদানির পরও কাঁচা মরিচের কেজি ২শ’ ৬০ থেকে ৩শ’ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি টমেটো আড়াইশ’ আর ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা কেজিতে।
চাল-ডাল, তেল-আটার বাড়তি দাম অপরিবর্তিত থাকলেও এবার দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় শীর্ষে উঠলো নিম্নবিত্তের আমিষের প্রধান যোগানদাতা- ডিম। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা দরে।
মূল্যবৃদ্ধির দৌড়ে পিছিয়ে নেই মাছ-মুরগিও; প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, আর সোনালী মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালে এনে বাজারে স্বস্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রশাসনের ধারাবাহিক নজরদারির দাবি ক্রেতাদের।