নির্দেশ অমান্য করে হলে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা
- আপডেট সময় : ০৫:৫৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
প্রশাসনের নির্দেশের পরেও আবাসিক হলে অবস্থান করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পহেলা মার্চের মধ্যে হল খোলার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনে রোববার রাতে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশনা জারীর পর থেকে সোমবার আবারো উত্তাল হয়ে উঠে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়। সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। সরকারী সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে হল খুলতে অপারগ বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে হল না ছাড়ার দাবীতে অনড় রয়েছে।
রোববার রাতে প্রশাসনের নির্দেশনায় বলা হয়, করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ আছে। হল ত্যাগের নির্দেশ না মানলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।আবাসিক হল খুলে দেয়াসহ নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। দাবী না মানলে আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান।
ক্যাম্পাসের বাইরে এবং বিভিন্ন মেসে নিরাপত্তাহীনতার কারনে আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবীতে রোববার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নীচে খোলা জায়াগায় রাত্রী যাপন করেছে কিছু শিক্ষার্থী। হল খুলে না দেয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে খোলা জায়গায় রাত্রী যাপন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অথচ আবাসিক হল খুলে না দেয়ায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা নানাভাবে নির্যাতন এবং ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে।
এদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রক্টরের আশ্বাসে ১ মার্চ পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত। করেছে ছাত্রছাত্রীরা। আন্দোলন নিয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান শিক্ষার্থীদের বলেন, ভ্যাকসিন নিশ্চিত করার পর ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।