০৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

অভিশাপের নীল চাষ এখন সম্ভাবনাময় ফসল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / ২০৯৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভিশাপের নীল চাষ এখন সম্ভাবনাময় ফসলে পরিণত হয়েছে উত্তরে। কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেক প্রান্তিক মানুষের।দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানী করে আনছে বৈদেশিক মুদ্রাও, বছর প্রতি বাড়তি আয় ৬০ লাখ টাকা।

সড়ক ও মেঠোপথে সারি সারি লাগানো গাঢ় সবুজ রঙের গাছগুলোই নীল গাছ। যে ফসল চাষে বাংলার কৃষককে বাধ্য করতো বৃটিশরা। এখন সেই ফসল অনায়াশে চাষ হচ্ছে উত্তর জনপদে।
ইতিহাস বলছে, সপ্তদশ শতক থেকে এ অঞ্চলে নীল চাষের গোড়াপত্তন। এখানকার মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু ছিলো নীল চাষে উপযোগী। নীল এখন উত্তরের সম্ভাবনাময় ফসল। সামান্য শ্রমে উচু স্থানে, পুকুর পাড়, নদীর ধারে, রাস্তাঘাট ও মাঠের পাশে সহজে নীল চাষ করছেন কৃষকরা ।
বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় রংপুরের রাজেন্দ্রপুরে গড়ে ওঠে ‘লিভিং ব্লু প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি নীল প্রসেসিং কারখানা। সনাতন পদ্ধতিতে নীল গাছের পাতা থেকে সংগ্রহ করা হয় নীল রঙ।রংপুরে নীল চাষ হলে কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। ব্রিটিশরা এক সময়ে নীল চাষে বাধ্য করতো, এখন সেটা লাভের আশায় কৃষকরা চাষ করছে।

কৃষি বিভাগও বলছে, নীল আসলে একটি কৃষি ফসল, ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিগো’ এই ফসল চাষে তাদের কোন বাধা নিষেধ নেই।

কারখানায় এক কেজি নীল উৎপাদন করতে খরচ হয় চার হাজার টাকা। আর দেশে বিক্রি হয় পাঁচ হাজারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই অঞ্চলের নীল স্থান পেয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা ও ভারতে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অভিশাপের নীল চাষ এখন সম্ভাবনাময় ফসল

আপডেট সময় : ০১:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

অভিশাপের নীল চাষ এখন সম্ভাবনাময় ফসলে পরিণত হয়েছে উত্তরে। কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেক প্রান্তিক মানুষের।দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানী করে আনছে বৈদেশিক মুদ্রাও, বছর প্রতি বাড়তি আয় ৬০ লাখ টাকা।

সড়ক ও মেঠোপথে সারি সারি লাগানো গাঢ় সবুজ রঙের গাছগুলোই নীল গাছ। যে ফসল চাষে বাংলার কৃষককে বাধ্য করতো বৃটিশরা। এখন সেই ফসল অনায়াশে চাষ হচ্ছে উত্তর জনপদে।
ইতিহাস বলছে, সপ্তদশ শতক থেকে এ অঞ্চলে নীল চাষের গোড়াপত্তন। এখানকার মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু ছিলো নীল চাষে উপযোগী। নীল এখন উত্তরের সম্ভাবনাময় ফসল। সামান্য শ্রমে উচু স্থানে, পুকুর পাড়, নদীর ধারে, রাস্তাঘাট ও মাঠের পাশে সহজে নীল চাষ করছেন কৃষকরা ।
বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় রংপুরের রাজেন্দ্রপুরে গড়ে ওঠে ‘লিভিং ব্লু প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি নীল প্রসেসিং কারখানা। সনাতন পদ্ধতিতে নীল গাছের পাতা থেকে সংগ্রহ করা হয় নীল রঙ।রংপুরে নীল চাষ হলে কৃষির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। ব্রিটিশরা এক সময়ে নীল চাষে বাধ্য করতো, এখন সেটা লাভের আশায় কৃষকরা চাষ করছে।

কৃষি বিভাগও বলছে, নীল আসলে একটি কৃষি ফসল, ইংরেজি নাম ‘ইন্ডিগো’ এই ফসল চাষে তাদের কোন বাধা নিষেধ নেই।

কারখানায় এক কেজি নীল উৎপাদন করতে খরচ হয় চার হাজার টাকা। আর দেশে বিক্রি হয় পাঁচ হাজারে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই অঞ্চলের নীল স্থান পেয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, কানাডা ও ভারতে।