পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় কমেছে আমদানি-রপ্তানি
- আপডেট সময় : ০১:০৮:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৪
- / ১৬৩৭ বার পড়া হয়েছে
ডলার সংকট, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন ও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় কমেছে আমদানি-রপ্তানি। ফলে কমেছে রাজস্ব আয়। বন্দর শুল্ক বিভাগ জানায়, গত অর্থ বছরে বন্দরে ৯২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আয় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের চাহিদা পূরণ ও এলসি খুলতে ব্যাংকগুলো সহযোগিতা করলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব।
ভুটানের সাথে ভারতের ট্রানজিট নিয়ে অভ্যন্তরিণ সমস্যা, ডলার সংকট, বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোতে এলসি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয়ে বারবার ধাক্কা খাচ্ছে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে অস্থিরতায় বন্দরে আমদানি রপ্তানি কমেছে আশঙ্কাজনকহারে। দেশের স্থলপথে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দরটিতে প্রতিবেশি দেশ ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি করা হলেও বাংলাদেশ থেকে ভারত ও ভুটানে তেমন কোন পণ্য রপ্তানি না হওয়ায় বাণিজ্যে ভারসাম্য হারিয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরটিতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য তৈরি হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি বন্দরের রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে যাবে। বন্দরে কর্মরত শ্রমিকেরা বলছেন, আগে যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে আড়াই থেকে তিনশ ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতো বর্তমানে সেটা নেমে এসেছে পঞ্চাশটিতে। বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টরা বলছেন, ডলার সংকট, এলসি সমস্যার সাথে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। পর্যাপ্ত ডলার সংকট, ব্যাংকগুলোতে এলসি সমস্যা ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়াকে প্রধান সমস্যা মনে করছেন বন্দরের সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়; ভারতের সেভেন সিস্টার্সখ্যাত রাজ্যগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। গত অর্থবছরে চাহিদার তুলনায় ডলারের ঘাটতি আর নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রানজিট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে রাজস্ব আয় কমেছে বলে জানান বন্দর ব্যবস্থাপক।
বন্দরের শুল্ক বিভাগ জানায়, গত অর্থবছরে ৯২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ কোটি টাকা কমে আদায় হয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগষ্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে ২৩ হাজার ৭’শ ৪৮ জন আর ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করেছে ২৩ হাজার ৪’শ ১ জন।