পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার দাম অর্ধেকে নেমে আসায় হতাশ চা চাষীরা
- আপডেট সময় : ০২:১৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
- / ১৬০৪ বার পড়া হয়েছে
মৌসুমের শুরুতে পঞ্চগড়ে কাঁচা চা-পাতার দাম অর্ধেকে নেমে আসায়, হতাশ চা চাষীরা। ন্যায্যমূল্য না পেয়ে চাষীরা চায়ের পাতা সড়কে ফেলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা বলেন, চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানা মালিকরা সিন্ডিকেট করে নিজেদের লাভের অংক বাড়াতে চায়ের দর কমিয়েছেন। যদিও কাঁচা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটি এবার ১৮ টাকা কেজি দর নির্ধারণ করেছে।
বছরে ৬ থেকে ৮ বার বাগান থেকে চায়ের কাঁচা চা পাতা তোলা যায়। এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে পাতা তোলার মৌসুম। এবার মৌসুমের শুরুতে বাগান থেকে চায়ের নরম সবুজ পাতা তুলে বিক্রির আগে হঠাৎ করেই দরপতনে দিশাহারা পঞ্চগড়ের চা-চাষিরা।
প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতা ১২ থেকে ১৪ টাকার বেশি দিচ্ছে না প্রক্রিয়াকরণ কারখানাগুলো। গত বছর এসময় প্রতি কেজি কাঁচা চা পাতার দাম ছিলো ২২ থেকে ২৫ টাকা। চায়ের হঠাৎই এমন দরপতনে মানব বন্ধনসহ বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা।
কাঁচা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটি প্রতি কেজির দর ১৮ টাকা নির্ধারণ করলেও কারখানা মালিকরা তাদের অবস্থানে অনড়। উৎপাদিত পাতার মান ভালো না বলেও দাবি তাদের। তবে চাষীরা বলছেন, ভালো মানের চা অবৈধভাবে বিক্রি করে নিম্ন মানের চা অকশন মার্কেটে দেয়ায় দর কমতে পারে। বর্তমান দরে কাঁচা চা পাতা বিক্রি করলে, চাষীদের প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা লোকসান গুনতে হবে।
আর কারখানা কর্তৃপক্ষের সাফ কথা, অকশন মার্কেটে দাম না পাওয়ায় কাঁচা চা পাতার দর কমেছে। এতে চাষীদের সাথে তারাও আর্থিক ক্ষতিতে পড়ছে।
চাষিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব কষে প্রতিকেজি কাঁচা চা-পাতার দাম ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে কাঁচা পাতার মূল্য নির্ধারণ কমিটি বলে জানালেন পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ডের এ কমকর্তা।
চা চাষীদের স্বাথকে অগ্রধিকার দিয়ে সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
চা চাষীরা কাঁচা পাতার ন্যায্যমূল্য পাবে- এমনটা প্রত্যাশা সবার।