০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

পণবন্দিদের হত্যার হুমকি হামাসের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৯১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হাতে অন্তত ১০০ পণবন্দি আছে। এর মধ্যে মার্কিন নাগরিকও আছেন।

তিন দিন ধরে লাগাতার যুদ্ধ চলছে ইসরায়েলের সেনার সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের। লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত ৮০০ ইসরায়েলি এবং ৬৫০ জন গাজার অধিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের পরিকাঠামো লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালিয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেব এর চেয়ে অনেক বেশি। গাজা স্ট্রিপে আরো বেশি ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করছেন।

হেজবোল্লাহ আক্রমণ

ইসরায়েল লক্ষ্য করে এখনো লাগাতার রকেট ছুঁড়ছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে শেলিং করছে। সময় সময় বিমানহামলাও চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েলের অন্য সীমান্তে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের হেজবোল্লাহ।

হেজবোল্লাহর দাবি, ইসরায়েল লেবাননে রকেট হামলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় অন্তত তিনজন হেজবোল্লাহ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই দুইটি ইসরায়েলি সেনা পোস্ট লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়। ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, ওই আক্রমণে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জেহাদি গ্রুপ লেবাননের সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ইসরায়েলের আরো অভিযোগ, গাজায় লড়াই শুরু হওয়ার পরেই লেবাননের দিক থেকে তাদের সমর্থনে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। সে কারণেই লেবাননে হেজবোল্লাহ কাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। হেজবোল্লাহ অবশ্য এই অভিযোগহ অস্বীকার করেছে। জার্মানি, অ্যামেরিকা এবং আরব লিগ-সহ একাধিক দেশ হেজবোল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পণবন্দি নিয়ে হামাস

এদিকে গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ না করলে একজন একজন করে পণবন্দিকে হত্যা করা হবে। এবং তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে ইসরায়েল। বস্তুত, পণবন্দিদের মধ্যে বেশ কিছু মার্কিন নাগরিক আছে। জো বাইডেন জানিয়েছেন, পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য তার সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে এবিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, এখন পণবন্দিদের হত্যা করলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ। হামাসকে একাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনকে আর্থিক সুবিধা!

ফিলিস্তিনকে খাদ্যের জন্য সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হবে। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে একথা জানিছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি বলেছেন, ”এই পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের খাদ্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া অন্যায় হবে।” তবে এর আগে আরেক জার্মান মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনকে অর্থসাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেয়ারবক জানিয়েছেন, পরিকাঠামোর জন্য যে অর্থ ফিলিস্তিনকে দেওয়া হয় তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু খাদ্যের জন্য যে সাহায্য দেওয়া হয়, তা বন্ধ করা হবে না।

ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, গাজা স্ট্রিপকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো কিছু ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস যুদ্ধ চালাবে, ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপের অধিবাসীদের এমন পাঠ দেওয়া হবে, যা তাদের পরবর্তী প্রজন্মও ভুলতে পারবে না। বস্তুত, এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদেরও একজোট হয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পণবন্দিদের হত্যার হুমকি হামাসের

আপডেট সময় : ১২:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হাতে অন্তত ১০০ পণবন্দি আছে। এর মধ্যে মার্কিন নাগরিকও আছেন।

তিন দিন ধরে লাগাতার যুদ্ধ চলছে ইসরায়েলের সেনার সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের। লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত ৮০০ ইসরায়েলি এবং ৬৫০ জন গাজার অধিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা হামাসের পরিকাঠামো লক্ষ্য করেই আক্রমণ চালিয়েছে। তবে বেসরকারি হিসেব এর চেয়ে অনেক বেশি। গাজা স্ট্রিপে আরো বেশি ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকেই দাবি করছেন।

হেজবোল্লাহ আক্রমণ

ইসরায়েল লক্ষ্য করে এখনো লাগাতার রকেট ছুঁড়ছে হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েল গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে শেলিং করছে। সময় সময় বিমানহামলাও চালানো হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েলের অন্য সীমান্তে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের হেজবোল্লাহ।

হেজবোল্লাহর দাবি, ইসরায়েল লেবাননে রকেট হামলা চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় অন্তত তিনজন হেজবোল্লাহ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই দুইটি ইসরায়েলি সেনা পোস্ট লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়। ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, ওই আক্রমণে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ইসরায়েল জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি জেহাদি গ্রুপ লেবাননের সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে ঢোকার চেষ্টা করছিল। ইসরায়েলের আরো অভিযোগ, গাজায় লড়াই শুরু হওয়ার পরেই লেবাননের দিক থেকে তাদের সমর্থনে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। সে কারণেই লেবাননে হেজবোল্লাহ কাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। হেজবোল্লাহ অবশ্য এই অভিযোগহ অস্বীকার করেছে। জার্মানি, অ্যামেরিকা এবং আরব লিগ-সহ একাধিক দেশ হেজবোল্লাহকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

পণবন্দি নিয়ে হামাস

এদিকে গাজা স্ট্রিপ থেকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ না করলে একজন একজন করে পণবন্দিকে হত্যা করা হবে। এবং তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে ইসরায়েল। বস্তুত, পণবন্দিদের মধ্যে বেশ কিছু মার্কিন নাগরিক আছে। জো বাইডেন জানিয়েছেন, পণবন্দিদের উদ্ধারের জন্য তার সরকার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে এবিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, এখন পণবন্দিদের হত্যা করলে তা হবে যুদ্ধাপরাধ। হামাসকে একাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলেছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনকে আর্থিক সুবিধা!

ফিলিস্তিনকে খাদ্যের জন্য সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হবে। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে একথা জানিছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি বলেছেন, ”এই পরিস্থিতির মধ্যে ফিলিস্তিনিদের খাদ্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া অন্যায় হবে।” তবে এর আগে আরেক জার্মান মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ফিলিস্তিনকে অর্থসাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেয়ারবক জানিয়েছেন, পরিকাঠামোর জন্য যে অর্থ ফিলিস্তিনকে দেওয়া হয় তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু খাদ্যের জন্য যে সাহায্য দেওয়া হয়, তা বন্ধ করা হবে না।

ইসরায়েল অবশ্য জানিয়েছে, গাজা স্ট্রিপকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনো কিছু ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস যুদ্ধ চালাবে, ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে। ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপের অধিবাসীদের এমন পাঠ দেওয়া হবে, যা তাদের পরবর্তী প্রজন্মও ভুলতে পারবে না। বস্তুত, এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদেরও একজোট হয়ে সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

ডয়চে ভেলে