পদোন্নতি পেয়েও উচ্চ পদে যোগ না দিয়ে, দখলে রেখেছেন চেয়ার
- আপডেট সময় : ০৩:৩১:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
- / ১৫৭৩ বার পড়া হয়েছে
উপকর কর্মকর্তা থেকে দেড় বছর আগে পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন সচিবালয় শাখার জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। অথচ এই উচ্চ পদে যোগ না দিয়ে, দখলে রেখেছেন নিচের চেয়ার। তবে বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিচ্ছেন নতুন পদের বিপরীতেও। আলোচিত ওই কর্মকর্তার নাম কামরুল হাসান; যিনি কর্মরত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনার মাধ্যমে রাজস্ব শাখার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের দুর্নীতির অভিযোগ আবারো সামনে এসেছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি, অভিযুক্ত কর্মকর্তাসহ চসিকের প্রধান নির্বাহী।
নিয়মানুয়ায়ি একটি ভবন থেকে তার মালিক রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাদ দিয়ে বছরে যে টাকা আয় করেন, তার ১৭ শতাংশ রাজস্ব হিসেবে দিতে হয় সিটি কর্পোরেশনকে। চট্টগ্রাম মহানগরির ২ লাখ চার হাজার ভবন ও সমপরিমান দোকানের সঠিক মুল্যায়ন হলে, বছরে রাজস্ব আসার কথা ৫’শ কোটি টাকারও বেশি। অথচ আসছে মাত্র ১১২ কোটি টাকা। কারণ রাজস্ব বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে ভবনের ভ্যালুয়েশন কম দেখিয়ে কর্পোরেশনের আয়ের পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে।
৭ নম্বর রাজস্ব সার্কেলের উপ-কর কর্মকর্তা কামরুল হাসান। দেড় বছর আগে তিনিসহ ৬ জনকে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে পদোন্নতি দেয় কর্তৃপক্ষ। অন্য সবাই নিজেদের পদে যোগদান করলেও কামরুল হাসান এখনো অফিস করছেন আগের পদেই। এতে হতবাক সহকর্মীরাও।
সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগে চাকরি শুরু করেন কামরুল হাসান। একপর্যায়ে সাবেক মেয়র মঞ্জুর আলমের পিএ হিসেবেও কাজ করেন। সে সময় মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে একটি ফ্লাট ও দোকান বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে, ওএসডি হন। পরে বদলী হন রাজস্ব শাখায়। এব্যাপারে বক্তব্য জানতে ৭ নম্বর সার্কেলে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও তার সন্ধান পায়নি এসএটিভি। এমনকি ফোনও ধরেননি তিনি।
এব্যাপারে কথা বলতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহীর দফতরে গেলে পিএ’র মাধ্যমে সাক্ষাতের কারন জেনে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনিও।
স্ব-ঘোষিত উপ কর কর্মকর্তা কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর অধিনস্ত আগ্রাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন ভবনের ভ্যালুয়েশন কম দেখিয়ে প্রতিমাসে লাখ-লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করার অভিযোগ রয়েছে দুদকেও।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন মেয়র বা প্রশাসক এলেই কর্পোরেশনের আয় বাড়ানোর অজুহাতে গৃহকর বাড়ানোর তোড়জোড় চালানো হয়। যা নিয়ে একাধিকবার আন্দোল করে নগরবাসী। অথচ এই ধরনের অনিয়ম আর দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে গৃহকর নিয়ে জটিলতায় পড়তে হবে না কর্পোরেশনকে।