পরিবহন সংকটের কারণে বাজারে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
দেশে সবজির অন্যতম বৃহৎ বাজার যশোরের সাতমাইল হাট। রোববার ও বৃহস্পতিবার বসে এই হাট। আর এখান থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ স্থানের ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে সবজি নিয়ে যান। কিন্তু করোনার প্রভাবে পাইকার সংকট দেখা দিয়েছে সাতমাইল হাটে। ফলে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। এতে ক্ষতিগস্থ হচ্ছেন চাষীরা। কৃষি বিভাগ বলছে, সবজির উৎপাদন ভালো হয়েছে। পরিবহন সংকটের কারণে বাজারে দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা।
সারা বছরই যশোর জেলায় সবজির আবাদ হয়। বছরে ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষিরা বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করেন। উৎপাদন হয় প্রায় ৮ লাখ মেট্রিক টন সবজি। এসব সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে, সাইমাইল হাটে বিক্রির জন্য আনা হয়। সেখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে চলে যায়। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে, ধস নেমেছে সবজির বাজারে। পাইকাররা আসছেন না সবজি কিনতে। হাতে গোনা কয়েকজন পাইকার এলেও নায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। সব সবজিই কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সব্জি চাষীরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে সংসার চালানো দায় হয়ে যাবে। সঠিক দামে পণ্য কেনাবেচায় বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
পাইকাররা বলছেন, সব্জি কিনে দু’পয়সা লাভের আসায় তারা সচেষ্ট। ক্ষতি হচ্ছে বলেই তারা হাটে কিছুটা কম দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবছর যশোরে গ্রীষ্মকালীন সবজির প্রচুর উৎপাদন হয়েছে। করোনার কারণে পরিবহণ সংকটে সঠিক দাম পাচ্ছেন না চাষীরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।
যশোরে উৎপাদিত বেগুন, পটল, লাউ, সিমসহ বিভিন্ন সবজির কদর রয়েছে সারাদেশে।