পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বরগুনায় গড়ে উঠছে বেশ কিছু ইটভাটা
- আপডেট সময় : ০৭:১৩:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
- / ১৭৩৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের তোয়াক্কা না করে কোন প্রকার অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বরগুনায় গড়ে উঠছে বেশ কিছু ইটভাটা। এসব ভাটায় ড্রাম চিমনীর মাধ্যমে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, নষ্ট করা হচ্ছে ফসলী জমি আর উজার হচ্ছে বনভূমি। এতে মারাত্মক দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। ভাটা মালিকদের দাবি, এসব ভাটার অনুমোদন না থাকলেও পরিবেশ অথবা ফসলি জমির কোন ক্ষতি হচ্ছে না। তবে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, কোন ভাবেই এসব অবৈধ ভাটা চালাতে দেয়া হবেনা।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার রায়বালা গ্রামে প্রায় ৮শ’ শতাংশ ফসলের মাঠ জুড়ে প্রস্তুত হচ্ছে মেসার্স আল্লার দান ব্রিকস। ফলে একদিকে যেমন নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, অন্যদিকে ড্রাম চিমনী আর কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কারণে নষ্ট হবে পরিবেশ। অভিযোগ রয়েছে, ভাটা মালিকরা প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জোরপূর্বক এ ভাটায় দখল করেছে স্থানীয় নিরিহ মানুষের জমি। ক্ষতি করছেন, পানের বরজসহ বিস্তৃত ধান ক্ষেত। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় প্রশাসনের উপর ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা।
শুধু আল্লার দান ব্রিকস্-ই নয়, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মেসার্স এমএমবি ব্রিকস্, মেসার্স ফাইভ ষ্টার ব্রিকস্,এইচআরটি ব্রিকস্, আরএনকেএফ ব্রিকস্, এমসিকে ব্রিকসসহ অর্ধশতাধিক ড্রাম এবং অবৈধ ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে লোকালয়ে।যাতে নিয়মিত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রকৃতি এবং পরিবেশ। এসব বিষয়ে কথা বলতে গেলে স্থানীয়দের দেয়া হয় নানা ধরনের হুমকি ধামকি।
কোন ধরনের লাইসেন্স অথবা প্রশাসনের অনুমতি বিহীন এসব ভাটা চালানোর কথা স্বীকার করলেও, পরিবেশ অথবা ফসলের কোন ক্ষতি হচ্ছেনা বলে দাবি ভাটা মালিকদের।
সকল ধরনের অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।
জেলায় অনুমোদিত ৪২টি ইটভাটার তালিকা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি অবৈধ ভাটার তালিকা। তবে আমতলী উপজেলার ৮টি ড্রাম চিমনী ভাটার তালিকা রয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে এসব অবৈধ ভাটা বন্ধ হবে এমনটাই আশা বরগুনার সর্বস্তরের মানুষের।