১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

পল্লবীতে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক, অনিয়মের কথা স্বীকার করলেন মেয়র

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৬৮৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের পাশে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। মার্কেটের নিচ তলা থেকে শুরু করে পাচঁ তলা পর্যন্ত ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল সেবন ও বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এসএ টিভিকে বলেন, ভবনটি মিরপুর-পল্লবীতে মাদক নির্মূলের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এই মার্কেট ভবনকে ঘিরে নানা অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন ডিএনসিসি’র মেয়র।

১৯৮৯ সালে পরামর্শক নিয়োগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নির্মাণাধীন নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের পাশে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। মার্কেটর চারপাশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ঘন বসতি বসবাস। পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত এই ভবনটির ভেতরে বিদ্যুৎ না থাকায় মাদক ব্যবসায় এবং এলাকার যুবকরা নিরাপদে মাদক সেবন করছে।

পল্লবীর বাউনিয়া বাধ এ-ব্লক থেকে সি-ব্লক পর্যন্ত, লালমাটিয়া বেইলি ব্রিজ, বাউনিয়াবাদ বাজার মাঠ, বেড়িবাঁধ, কালসি কলাবাগান, কালসি কবরস্থাননের আশেপাশে প্রায় ২০টি স্পটে চলে মাদকের রমরমা কারবার।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এই অরক্ষিত মার্কেটটি । সরজমিনে দেখা যায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকের কারণে এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও ইফটিজিং-এর মতো অপরাধ। স্থানীয় বাসিন্দারা সব সময় তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, পল্লবী থানা পুলিশ তাদের সোর্সের মাধ্যম্যে মাদক নিমূলের নামে অর্থ বাণিজ্যই বেশি করে।

ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে ১২টি। সম্প্রতি মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় খুন হয় সাব্বির নামে এক যুবক।

এদিকে ধোয়াসায়ী কথা বললেন পল্লবী থানার ওসি। তিনি জানান, অভিযানে মাঝে-মধ্যে দু-চারজন মাদক বিক্রেতা ধরা পড়লেও শীর্ষ কারবারিরা রয়েছে অধরা। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ এসএ টিভিকে বলেন, সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেখানে সিটি কর্পোরোশনের এই অরক্ষিত ভবনে অবাদে চলছে মাদক সেবন ও বিক্রি। কোন ক্রমেই নির্মূল করা যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার।

এদিকে এসএ টিভির কাছে মার্কেটটি নিয়ে দায়সারা কথা বললেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পল্লবীতে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক, অনিয়মের কথা স্বীকার করলেন মেয়র

আপডেট সময় : ০১:৪২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের পাশে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। মার্কেটের নিচ তলা থেকে শুরু করে পাচঁ তলা পর্যন্ত ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিল সেবন ও বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এসএ টিভিকে বলেন, ভবনটি মিরপুর-পল্লবীতে মাদক নির্মূলের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে এই মার্কেট ভবনকে ঘিরে নানা অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন ডিএনসিসি’র মেয়র।

১৯৮৯ সালে পরামর্শক নিয়োগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে নির্মাণাধীন নিউ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মার্কেট।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ৩১ বছর আগে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী বিহারী ক্যাম্পের পাশে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে সিটি করপোরেশনের নির্মানাধীন ভবনটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য। মার্কেটর চারপাশে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ঘন বসতি বসবাস। পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত এই ভবনটির ভেতরে বিদ্যুৎ না থাকায় মাদক ব্যবসায় এবং এলাকার যুবকরা নিরাপদে মাদক সেবন করছে।

পল্লবীর বাউনিয়া বাধ এ-ব্লক থেকে সি-ব্লক পর্যন্ত, লালমাটিয়া বেইলি ব্রিজ, বাউনিয়াবাদ বাজার মাঠ, বেড়িবাঁধ, কালসি কলাবাগান, কালসি কবরস্থাননের আশেপাশে প্রায় ২০টি স্পটে চলে মাদকের রমরমা কারবার।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের এই অরক্ষিত মার্কেটটি । সরজমিনে দেখা যায় প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদকের কারণে এলাকায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ও ইফটিজিং-এর মতো অপরাধ। স্থানীয় বাসিন্দারা সব সময় তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, পল্লবী থানা পুলিশ তাদের সোর্সের মাধ্যম্যে মাদক নিমূলের নামে অর্থ বাণিজ্যই বেশি করে।

ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে ১২টি। সম্প্রতি মাদক বিক্রিতে বাধা দেয়ায় খুন হয় সাব্বির নামে এক যুবক।

এদিকে ধোয়াসায়ী কথা বললেন পল্লবী থানার ওসি। তিনি জানান, অভিযানে মাঝে-মধ্যে দু-চারজন মাদক বিক্রেতা ধরা পড়লেও শীর্ষ কারবারিরা রয়েছে অধরা। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মাদকের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ এসএ টিভিকে বলেন, সরকার যেখানে মাদকের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স ঘোষণা করেছে, সেখানে সিটি কর্পোরোশনের এই অরক্ষিত ভবনে অবাদে চলছে মাদক সেবন ও বিক্রি। কোন ক্রমেই নির্মূল করা যাচ্ছে না মাদকের বিস্তার।

এদিকে এসএ টিভির কাছে মার্কেটটি নিয়ে দায়সারা কথা বললেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র।