পাচারের অর্থ বৈধ করতে অর্থমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব অনৈতিকতাকে উৎসাহিত করবে : সিপিডি
- আপডেট সময় : ০৮:২৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচারের অর্থ বৈধ করতে অর্থমন্ত্রীর দেয়া প্রস্তাব অনৈতিকতাকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করে সিপিডি। আর বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মতে, সুবিধাভোগী অর্থ পাচারকারীরাই এ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, অর্থ পাচারকে বৈধতা দিতে সরকারের যুক্তি ধোপে টেকে না। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আপত্তির যৌক্তিকতা খুঁজে দেখা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির তথ্য বলছে, বৈদেশিক বানিজ্যের আড়ালে গেলো ৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। গড়ে প্রতি বছর পাচার হয় ৭৬ হাজার কোটি টাকা। শুধু এক বছরের পাচার করা অর্থ দিয়েই তিনটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।
এমন বাস্তবতায় ৯ জুন ৭ শতাংশ কর দিয়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করার সুযোগ দিয়ে বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংলাপের আয়োজন করে সিপিডি। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন করোনা আক্রান্ত পরিকল্পনা মন্ত্রী।
শুরুতেই অর্থ পাচারে বৈধতার প্রশ্নে সিপিডির মূল্যায়ন তুলে ধরেন নির্বাহী পরিচালক ।
সিপিডির মূলায়নের পর, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে, দলীয় অবস্থান তুলে ধরেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
এর আগে, চলমান সংসদের বৈধতা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ান তারা।
সারাদেশ যখন পদ্মা সেতু নিয়ে উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে বিদ্বষে ছড়াচ্ছে কিছু ব্যক্তি বলেও মন্তব্য করেন এম এ মান্নান।