পানি কমলেও বন্যা কবলিত মানষের দূর্ভোগ কমেনি
- আপডেট সময় : ১২:১২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।তবে ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগে বেড়েছে বানভাসি মানুষ। পাশাপাশি এ সব এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত নানা রোগ।
নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় কুড়িগ্রামের সাবিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গত প্রায় ৪ লাখের বেশি মানুষ। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি বন্যায় কর্মহীন হয়ে পড়া এ সব মানুষ খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। যারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে তারাও ঘরে ফিরতে পারছে না। নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ভেসে গেছে দুই হাজারেরও বেশি পরিবারের ঘর-বাড়ি।
জামালপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে উন্নতি হয়নি সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে আজ সকালে বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে একমাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মাদারীপুরের শিবচরে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার পরিবার। এসব এলঅকায় দেখা দিয়ে খাবার সংকট। এদিকে জেলা প্রশাসক বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
মানিকগঞ্জ সকালে যমুনার পারিন শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর জাগীর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে এখনো বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার বন্যা কবলিত ৬টি উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের আড়াই’শত গ্রামের বানভাসি সাড়ে তিন লক্ষাধিক অসহায় মানুষ।
পাবনায় কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি।পাশাশি বাড়ছে পদ্মা নদীর পানি। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
ফরিদপুরের পদ্মা, মধুমতি ও আড়িয়ালখাঁ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। গত ২৪ঘন্টায় পদ্মান দীর পানি ৫সেন্টিমিটার কমে তা বিপদ সীমার ১১৪সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি কমলে ও বন্যা কবলিত মানষের দূর্ভোগ কমেনি।
উজানে নেমে আসা ঢল আর শ্রাবনের ভারী বর্ষণে কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৪৮ সেঃ মিঃ বৃদ্ধি পেয়েছে।