পানি কমানোর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন
- আপডেট সময় : ০২:২০:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় নদ-নদীর পানি আবারো কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু-কিছু এলাকায় পানি কমানোর সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এর ফলে আরো দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের।
কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারো ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় দীর্ঘ বন্যার পর আবারো নতুন করে বন্যার কবলে পড়ার আশংকায় দিন কাটছে চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের।অন্যদিকে, টানা বন্যায় জেলার সাড়ে ৪ শতাধিক চর ও নিম্নাঞ্চলের ফসলসহ সবকিছু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় একেবারের কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষজন।
পঞ্চম দফায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে দ্বিতীয় দিনের মত পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ৩৬ এবং একই সময় কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নেত্রকোনায় পানি কমতে শুরু করলেও খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।ধীর গতিতে পানি কমতে শুরু করায় দীর্ঘ মেয়াদি বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দুর্গতরা আক্রান্ত হচ্ছে পানি বাহিত নানা রোগে।
ইছামতি নদীর পানির বেড়ে যাওয়ায় যশোরের শার্শা সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন ফসলি জমি। গত কয়েক দিনে হঠাৎ ইছামতি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে শার্শা উপজেলার কায়বা, গোগা, বাগআঁচড়া, উলাশী ও পুটখালী ইউনিয়নের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
গাজীপুরে তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালি নদীতে ধীর গতিতে কমছে বন্যার পানি। এখনো দুর্ভোগে রয়েছে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। কালিয়াকৈর উপজেলার ১৮২টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল এখনো বন্যা কবলিত। রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় সফিপুর বড়ইবাড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঢাকার আশে পাশের নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের নলাগড়িয়া গ্রামের ধলেশ্বরী নদীতে এ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ব্যাপক ভাঙ্গনে এ গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়ী এরই মধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এদিকে, নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শ করেছেন সাভার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জরুল আলম রাজীব।
পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৫শতাধিক ঘরবাড়ি কোন রকমে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি ৩য় দফায় আবারো বেড়েছে। শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার বাড়লেও এখনও বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চলতি বন্যায় জেলার ৪ হাজার ৯১৬টি মৎস খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।