পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি–ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে রাশিয়া
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৮৪০ বার পড়া হয়েছে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি–ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে রাশিয়া। এর মধ্যদিয়ে পরমাণু স্থাপনার মর্যাদা পেল পাবনার ঈশ্বরদীতে স্থাপিত রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। ইউরোনিয়াম হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরমানু শক্তি শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, যৌথ এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সবসময় পাশে থাকবে রাশিয়া৷
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণ ও জ্বালানি সরবরাহকারী দেশ রাশিয়ার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ‘ইউরেনিয়াম’ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার মধ্য দিয়েই বিশ্বের পারমাণবিক ক্লাবের ৩৩তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হল বাংলাদেশ।
পাবনার রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেজ ওসমানের কাছে জ্বালানি হস্তান্তর করেন ।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়া থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যোগ দেন আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসিও।
হস্তান্তরের আগে দেয়া বক্তব্যে বিশ্বের পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক বহু পুরনো৷ সমতা ও সম্মান এই সম্পর্কের ভিত্তি৷
আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দিনটি বাংলাদেশের জন্য আনন্দ ও গর্বের।
তিনি বলেন, পরমানু শক্তি শান্তি রক্ষায় ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। সকল আইন মেনেই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালিত হবে।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে সহযোগিতার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অচিরেই পরমানু শক্তি থেকে ১২শ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
পুতিন
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে যে সনদ দেয়া হলো৷ তার মাধ্যমে পারমানবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র৷ রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো লাইফটাইমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতসহ সব সহায়তা করবে রাশিয়া৷ বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক বহু পুরনো৷ সমতা ও সম্মান এই সম্পর্কের ভিত্তি৷ ২০২৪ সালের প্ল্যান্টটির ১ম ইউনিট এবং ২০২৬ সালেই উৎপাদনে আসবে ২য় ইউনিট৷ সিডিউল অনুযায়ী শেষ হবে এর নির্মাণকাজ৷