পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৭:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে পুলিশ। কোন কারণ ছাড়াই তাকে চিকিৎসার নামে মারধোর করে হত্যা করা হয় বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরাও। এদিকে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও মানসিক হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অনুমতি ছাড়াই চলছিল বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হাসপাতালের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মাইন্ড এইড হাসপাতালটিতে মাঝেমধ্যে রোগীদের নিয়ে এসে ২য় তলার অন্ধকার ও সাউন্ড প্রুফ কক্ষে নির্যাতন করা হতো। মাইন্ড এইড হাসপাতালে দুই রাঁধুনিও দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন গতকালের ঘটনা। জানান, মারধরের পর ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম।
এদিকে হাসপাতালটি পর্যবেক্ষণ করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কর্মকর্তারা। তারা জানান দীর্ঘদিন ধরে কোন অনুমতি না নিয়েই চলছিল হাসপাতালটি।
মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম।সোমবার সকালে ভর্তির পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় কয়েকজন আনিসুল করিমকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে ঢুকিয়ে মারধর করেন কয়েকজন কর্মচারী। অবৈধ ভাবে চলা এ হাসপাতাল থেকে কোন ডাক্তার ছিল না উল্লেখ করে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপরই মারা যান তিনি।
ঘটনার পর ওই দিন রাতে আদাবর থানার নিহতের বাবা মামলা করলে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এই নির্মম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে হাসপাতালের সামনে মানবন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।