প্রকল্প পরিচালকের নিজের গ্রামেই ১৭ টি গার্ডার ব্রিজ, আশপাশে দুর্ভোগে মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
প্রকল্পের নাম ‘দক্ষিনাঞ্চলীয় লোহার সেতু পূননির্মান-পূনর্বাসন প্রকল্প’। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চল বাদ দিয়ে ওই প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাইয়ের নিজ গ্রামেই নির্মিত হচ্ছে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭টি গার্ডার ব্রীজ। অথচ আশ-পাশের গ্রামসহ গোটা উপজেলা এবং জেলায় কয়েক হাজার মানুষের বাঁশের সাকো আর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুঁ ব্যবহারে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কারে ‘দক্ষিণাঞ্চলের লোহার সেতু পূন:নির্মাণ-পূনর্বাসন’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি বিভাগ। কিন্তু ১৯টি ব্রীজের ১৭টি নির্মিত হচ্ছে প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাই মিয়ার গ্রামের বাড়ী বাজিতা গ্রামে। ওই গ্রামেই ‘ইঞ্জিনিয়ার কটেজ’ নামে তার বাড়ীর আধা কিলোমিটারের মধ্যেই নির্মিত হচ্ছে অন্তত সাতটি ব্রীজ। যার মধ্যে তিনটি ব্রীজের দূরত্ব মাত্র এক থেকে দেড়শ মিটার। মরাখাল, স্লুইসগেট ব্যবহার করে বদ্ধ খালের মধ্যেও নির্মিত হচ্ছে গার্ডার ব্রীজ। পিডির আত্মীয় দ্বারা ব্রীজ নির্মাণ করায় প্রশ্ন উঠেছে অনিয়মের বিষয়েও।
মির্জাগঞ্জে ২৩৯টি সেতুর অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও প্রকল্পে পিডির গ্রামের সেতুগুলো স্থান পাওয়ায় পাশের গ্রামের বাসিন্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সতেরটি ব্রীজের কাজ চলার কথা স্বীকার করলেও মরা খাল বা বদ্ধ খালের মধ্যে ব্রীজ নির্মানের ব্যপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার জানালেন-ভবিষ্যতে হয়তো ওই খাল নদীতে পরিনত হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে পিডির সাফাই গেয়ে পটুয়াখালীর এলজিইডির নির্বাহি প্রকৌশলী বললেন, পর্যায়ক্রমে গোটা জেলায় আরো ব্রীজ নির্মিত হবে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই এ কাজ বাগিয়েছেন যা বৈষম্য বলে স্বীকার করলেন প্রকল্প পরিচালক নিজেই। পটুয়াখালী জেলার ৮টি উপজেলায় লোহার সেতু (আয়রন ব্রীজ) আছে এক হাজার দুইশত সাতটি। এর মধ্যে ঝুকিপুর্ন লোহার সেতু রয়েছে ছ’শোটি।