প্রণোদনা ঋণের একটি টাকাও শোধ করেনি গার্মেন্টস মালিকরা
- আপডেট সময় : ০২:২৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
করোনার প্রথম ধাক্কায় শ্রমিকদের বেতন দেয়ার শর্তে শুধুমাত্র সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে নেয়া প্রণোদনা ঋণের একটি টাকাও শোধ করেনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকরা। ইতিমধ্যে ৬ মাস সময় বাড়িয়েছে সরকার, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে আরো ৬ মাস সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, প্রথম সংক্রোমণের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই দ্বিতীয় ধাক্কায় বিপর্যস্ত পুরো শিল্পটি। তাই সময় না বাড়ালে টাকা দেয়া সম্ভব হবে না তাদের পক্ষে। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সত্যিকারের সংকট থাকলে তা নিয়ে আলাদা দেন দরবার করা উচিত সরকারের সঙ্গে।কিন্তু ঋণের টাকা সময়মত না দিলে শৃঙ্খলা নষ্ট হবে ব্যাংকিং সেক্টরে।
গেল বছরের মার্চে করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের সময় টানা এক মাস বন্ধ ছিলো বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্প কারখানা। একইসাথে রপ্তানীমুখী দেশগুলোও ছিলো বিপর্যস্ত। তাই রপ্তানী বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মারাত্মকভাবে। তাই এই খাতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে যাতে অসোন্তোস তৈরী না হয় সে জন্য শ্রমিকদের বেতন দেয়ার শর্তে শুধুমাত্র ২ শতাংশ সার্ভিসচার্জের বিনিময়ে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রনোদণা ঋণ দেয় সরকার। কথা ছিলো ৬ মাস পর থেকে ১৮ কিস্তিতে তা শোধ করবেন গার্মেন্টস মালিকরা। জানুয়ারী থেকে কিস্তি শুরু হবার কথা থাকলেও দেননি কেউ।
গার্মেন্টস মালিকদের আবেদনে ইতিমধ্যে ৬ মাস সময় বারিয়েছে সরকার। আগামী জুন মাস থেকে ওই টাকার কিস্তি শুরু হবার কথা, কিন্তু ফের করোনার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাবের অজুহাতে সময় বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছে বিজিএমইএ। নেতারা বলছেন ভবিষ্যতে ঘুরে দারাতে পারলে ঋণ শোধ করবেন তারা।
আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কমার্সিয়াল ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রণোদনা ঋণের এই টাকা দিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। গার্মেন্টস মালিকরা ঋণের কিস্তি না দিলেও বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা কাটা শুরু করে দিয়েছে। এতে পুরো ব্যাংকিং সেক্টরের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ার আশংকা তৈরী হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে অধিকাংশ গার্মেন্টস মালিকরা তাদের ক্যাপিটাল ঋণের কিস্তি নিয়মিত শোধ করলেও শ্রমিকদের বেতন দেয়ার শর্তে নেয়া ঋণের টাকা দিতে গরিমসি করছেন। তাই এটাকে সংকটের চেয়েও সদিচ্ছার অভাব হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা