০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রথমবার আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি স্টারশিপ রকেট সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে৷ এই রকেট দিয়ে ভবিষ্যতে নভচারীদের চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হতে যাচ্ছে স্টারশিপ৷ উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়ে বড় এটি৷

অবশ্য সোমবারের উড্ডয়ন সফল হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ইলন মাস্ক৷ রোববার টুইটার স্পেসে তিনি বলেন, ‘‘সফলতার ব্যাপারে আশান্বিত হওয়া উচিত হবে না৷ এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইট৷ এটি অনেক জটিল ও বিশাল রকেটে প্রথম উড্ডয়ন চেষ্টা৷” এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের যে স্থান থেকে স্টারশিপ উড্ডয়নের কথা সেখানকার আবহাওয়া বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত উড্ডয়ন চেষ্টা স্থগিতও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্টারশিপে করে চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে৷ এই মিশনের নাম আর্টেসিম তৃতীয়৷ ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এবার আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

স্টারশিপে দুটি ভাগ আছে৷ উপরের ভাগে আছে ৫০ মিটার লম্বা স্পেসক্রাফট, যেটিতে করে নভচারী ও কার্গো যাতায়াত করবে৷ আর নিচের ৭০ মিটার অংশে থাকবে সুপার হেভি বুস্টার রকেট৷

এর আগে কয়েকবার স্পেসক্রাফটের সাব-অর্বিটাল টেস্ট হয়েছে৷ তবে সোমবারই প্রথম স্পেসক্রাফট ও বুস্টার রকেট একসঙ্গে উড্ডয়নের চেষ্টা করবে৷

ওড়ার তিন মিনিট পর বুস্টার রকেট স্টারশিপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে গিয়ে পড়বে৷

আর স্টারশিপ প্রায় দেড়শো মাইল উপরে উঠে পুরো পৃথিবী ঘুরে দেড় ঘণ্টা পর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ার কথা৷

‘‘এটি যদি অর্বিটে যেতে পারে তাহলে সেটিই হবে অনেক বড় সফলতা,” বলছেন মাস্ক৷

নাসা তার নিজস্ব স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এসএলএস-এ করে আগামী বছরের নভেম্বরে নভচারীদের চাঁদের অর্বিটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে৷

এসএলএস-এর চেয়ে আকারে বড় ও শক্তিশালী হচ্ছে স্টারশিপ৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রথমবার আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট

আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি স্টারশিপ রকেট সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে৷ এই রকেট দিয়ে ভবিষ্যতে নভচারীদের চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হতে যাচ্ছে স্টারশিপ৷ উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়ে বড় এটি৷

অবশ্য সোমবারের উড্ডয়ন সফল হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ইলন মাস্ক৷ রোববার টুইটার স্পেসে তিনি বলেন, ‘‘সফলতার ব্যাপারে আশান্বিত হওয়া উচিত হবে না৷ এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইট৷ এটি অনেক জটিল ও বিশাল রকেটে প্রথম উড্ডয়ন চেষ্টা৷” এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের যে স্থান থেকে স্টারশিপ উড্ডয়নের কথা সেখানকার আবহাওয়া বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত উড্ডয়ন চেষ্টা স্থগিতও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্টারশিপে করে চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে৷ এই মিশনের নাম আর্টেসিম তৃতীয়৷ ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এবার আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷

স্টারশিপে দুটি ভাগ আছে৷ উপরের ভাগে আছে ৫০ মিটার লম্বা স্পেসক্রাফট, যেটিতে করে নভচারী ও কার্গো যাতায়াত করবে৷ আর নিচের ৭০ মিটার অংশে থাকবে সুপার হেভি বুস্টার রকেট৷

এর আগে কয়েকবার স্পেসক্রাফটের সাব-অর্বিটাল টেস্ট হয়েছে৷ তবে সোমবারই প্রথম স্পেসক্রাফট ও বুস্টার রকেট একসঙ্গে উড্ডয়নের চেষ্টা করবে৷

ওড়ার তিন মিনিট পর বুস্টার রকেট স্টারশিপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে গিয়ে পড়বে৷

আর স্টারশিপ প্রায় দেড়শো মাইল উপরে উঠে পুরো পৃথিবী ঘুরে দেড় ঘণ্টা পর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ার কথা৷

‘‘এটি যদি অর্বিটে যেতে পারে তাহলে সেটিই হবে অনেক বড় সফলতা,” বলছেন মাস্ক৷

নাসা তার নিজস্ব স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এসএলএস-এ করে আগামী বছরের নভেম্বরে নভচারীদের চাঁদের অর্বিটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে৷

এসএলএস-এর চেয়ে আকারে বড় ও শক্তিশালী হচ্ছে স্টারশিপ৷

ডয়চে ভেলে