প্রথমবার আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট
- আপডেট সময় : ১০:০৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির তৈরি স্টারশিপ রকেট সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথমবারের মতো আকাশে ওড়ার চেষ্টা করবে৷ এই রকেট দিয়ে ভবিষ্যতে নভচারীদের চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে৷
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হতে যাচ্ছে স্টারশিপ৷ উচ্চতা প্রায় ১২০ মিটার, অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টির চেয়ে বড় এটি৷
অবশ্য সোমবারের উড্ডয়ন সফল হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন ইলন মাস্ক৷ রোববার টুইটার স্পেসে তিনি বলেন, ‘‘সফলতার ব্যাপারে আশান্বিত হওয়া উচিত হবে না৷ এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ফ্লাইট৷ এটি অনেক জটিল ও বিশাল রকেটে প্রথম উড্ডয়ন চেষ্টা৷” এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের যে স্থান থেকে স্টারশিপ উড্ডয়নের কথা সেখানকার আবহাওয়া বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত উড্ডয়ন চেষ্টা স্থগিতও করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ স্টারশিপে করে চাঁদে নভচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে৷ এই মিশনের নাম আর্টেসিম তৃতীয়৷ ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর এবার আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷
স্টারশিপে দুটি ভাগ আছে৷ উপরের ভাগে আছে ৫০ মিটার লম্বা স্পেসক্রাফট, যেটিতে করে নভচারী ও কার্গো যাতায়াত করবে৷ আর নিচের ৭০ মিটার অংশে থাকবে সুপার হেভি বুস্টার রকেট৷
এর আগে কয়েকবার স্পেসক্রাফটের সাব-অর্বিটাল টেস্ট হয়েছে৷ তবে সোমবারই প্রথম স্পেসক্রাফট ও বুস্টার রকেট একসঙ্গে উড্ডয়নের চেষ্টা করবে৷
ওড়ার তিন মিনিট পর বুস্টার রকেট স্টারশিপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মেক্সিকো উপসাগরে গিয়ে পড়বে৷
আর স্টারশিপ প্রায় দেড়শো মাইল উপরে উঠে পুরো পৃথিবী ঘুরে দেড় ঘণ্টা পর প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ার কথা৷
‘‘এটি যদি অর্বিটে যেতে পারে তাহলে সেটিই হবে অনেক বড় সফলতা,” বলছেন মাস্ক৷
নাসা তার নিজস্ব স্পেস লঞ্চ সিস্টেম এসএলএস-এ করে আগামী বছরের নভেম্বরে নভচারীদের চাঁদের অর্বিটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে৷
এসএলএস-এর চেয়ে আকারে বড় ও শক্তিশালী হচ্ছে স্টারশিপ৷
ডয়চে ভেলে