যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধু টানেল
- আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
- / ১৭১০ বার পড়া হয়েছে
যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো বহুল প্রতিক্ষিত কর্ণফূলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। প্রথম টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হতে গভীর রাত থেকেই দু’পারে অপেক্ষা করেন উৎসুক মানুষ। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর স্বপ্নের টানেল পার হতে পেরে উচ্ছসিত তারা।কর্তৃপক্ষ বলছে, তিন রকম পদ্ধতিতে টোল আদায় করার প্রস্তুতি থাকলেও সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আপাতত এনালগ পদ্ধতিতেই টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্ত্বার কারণে মোটরবাইক ও তিন চাকার যান চলাচলের এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সকাল ৬ টায় খুলে দেয়ার কথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলের দুয়ার। ইতিহাসের অংশ হতে তাই টানেল গেটে উচ্ছসিত মানুষের ভিড়। নির্ধারিত সময়ে তুলে নেয়া হলো ব্যারিকেড। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে চলে যন্ত্রযান। কার আগে কে প্রবেশ করবে সুড়ঙ্গ সড়কে শুরু হয় তার প্রতিযোগীতা।
পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে প্রবেশ করে আনোয়ারা কিংবা আনোয়ারা প্রান্ত দিয়ে ঢুকে পতেঙ্গায় এসে ওঠে যানবাহনগুলো। এসময় নিজেদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাস প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।
আধুনিক টোল আদায় ব্যবস্থা, সংযোগ সড়কসহ টানেলের ভেতরের ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সন্তুস্টির কথা জানিয়ে টোলের হার পুন:নির্ধারনের দাবিও জানান কেউ কেউ।
টানেল কর্তৃপক্ষ বলছে, পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য দুই প্রান্তেই বসানো হয়েছে ওজন স্কেল। এছাড়া টানেলে চলাচলের জন্য বিভিন্ন ধরনের যানবাহনকে ১২ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মোটরবাইক কিংবা সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের ওপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
প্রতিদিন ১৭ হাজার যানবাহন চলাচলের সক্ষমতা সম্পন্ন এই টানেলে প্রথম এক ঘন্টায় ৭২ টি গাড়ি চলাচল করেছে।
অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচলের ওপর করাকরি করার পাশাপাশি দুই প্রান্তে স্থাপিত অটো স্ক্যানারের মাধ্যমে ঝুঁকিপুর্ণ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে কর্তৃপক্ষ।