বছরে কয়েক’শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা থাকলেও কুষ্টিয়ায় তা হচ্ছেনা
- আপডেট সময় : ০২:৩৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৪৯ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ায় বছরে কয়েক’শ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হওয়ার কথা থাকলেও, সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতায় তা হচ্ছেনা। তামাক, চাল, আটাসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সংখ্যা রয়েছে এখানে ছয়’শর বেশি।কাষ্টমসের নজরদারি সঠিকভাবে করার দাবি জানিয়েছে, জেলার সচেতন মহল।
কুষ্টিয়ায় অনুমোদিত তিন শতাধিক বিড়ি ও কয়েকটি সিগারেট কোম্পানি আছে। এছাড়া, দু’শ রাইচ মিল ও ৫০টি তামাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর বাইরেও দু’শর বেশি নকল বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানি জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহারের মাধ্যমে কম দামে পণ্য বাজারজাত করে। এদের বিরুদ্ধে কাষ্টমস বিভাগের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায়, চাপের মুখে পড়েন বৈধ ব্যবসায়ীরা।
আইন অনুযায়ী প্রতিটি সিগারেট ও বিড়ি কোম্পানিতে কাষ্টমস্ প্রতিনিধির জন্য নির্ধারিত কক্ষ থাকার কথা। সরকারি ব্যান্ডরোল তারাই বিতরণ করবে। কিন্তু, তা মানা হয়না। জাল ব্যান্ডরোল সনাক্তেও অপারগতার কথা জানান, কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা।
জেলার আটা কারখানা, গুল ফ্যাক্টরি, খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানেও নিয়মিত তদারকি করা হয়না বলে অভিযোগ করেন, স্থানীয়রা।
কুষ্টিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি হাজী রফিকুল আলম বলেন, কাষ্টমস্ কর্মকর্তাদের অসুদপায় ও উদাসীতনায় প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
লোকবল কম থাকার কারণে মাঝে মধ্যে তদারকি করা হয়। আর, জাল ব্যান্ডরোল যাচাইয়ের কোনো পদ্ধতি না থাকায় সমস্যা হয়। তবে, এ সব বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে বলে জানান, কুষ্টিয়া কাষ্টমসের ডেপুটি কমিশনার উত্তম কুমার।