বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে পৌছেছে পিসিআর মেশিন
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০২০
- / ১৬০৭ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গের রোগীকে অনুমানের ভিত্তিতে আর ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হবে না। পলিমারি চেইন রি-এ্যাকশন-পিসিআর মেশিনই বলে দেবে কে করোনায় আক্রান্ত। তবে এর জন্য কমপক্ষে আরো ১০ থেকে ১২ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা থেকে শুরু করে ১১ জেলার মানুষ এ পিসিআর’র সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে।
করোনা ভাইরাস শনাক্তে গেল ৩০ মার্চ শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে পৌছেছে পিসিআর মেশিন। মেশিনটি বসাতে কলেজের দ্বিতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একটি কক্ষ বরাদ্দ নেয়া হয়। ৩১ মার্চ থেকে শুরু হয় কক্ষটির সংস্কার। তবে কক্ষটি হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত পিসিআর মেশিন বসানো সম্ভব হবে না। মেশিন বসাতেও সময় লাগবে ২ থেকে ৩ দিন।
পিসিআর মেশিন পৌছানোর পর তা স্থাপনে কাজ চললেও দক্ষ জনবল নিয়োগ না হওয়ায় চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। এমনকি করোনা শনাক্তে এখনো কীট আসেনি।
দক্ষ জনবল নিয়োগ করে শিগগির পিসিআর মেশিনের কার্যক্রম শুরুর দাবি জানিয়েছেন সুশীল সমাজের নেতারা।
পিসিআর মেশিনটি যারা সরবরাহ করেছে, তারা দেখভাল করার পাশাপাশি জনবল প্রশিক্ষণও দেবে, বললেন সিভিল সার্জন। আর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, মেশিনটি বসানোর কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে করোনা ভাইরাস শনাক্তে কাজ শুরু হলে রোগী ও চিকিৎসক উপকৃত হবে।
এদিকে, মেডিকেলের পরিচালক জানালেন, পিসিআর মেশিন পরিচালনায় এরই মধ্যে একটি গ্রুপকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাছাড়া ৮ বছর পর্যন্ত মেশিনটিতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না বলে জোর দাবি পরিচালকের।
পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম এবং ঢাকার বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা।