বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না সেই অবস্থা আর নেই: প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১২:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৭৩১ বার পড়া হয়েছে
সাউথ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ব্রিকসের সদস্য হওয়ার ব্যাপারে ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘আমরা কি আবেদন করেছিলাম সদস্য হওয়ার জন্য?” তার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘চাইলে পাবো না এই অবস্থাটা নাই৷ প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটা প্রক্রিয়া থাকে৷ বাংলাদেশ ব্রিকস-এর শুরুর সময় থেকেই এই পাঁচ দেশের প্রধানদের সাথে যোগাযোগ বজায় রেখেছে৷ আমরা কারও কাছে বলতে যাইনি যে আমাদের সদস্য করেন৷ বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না সেই অবস্থাটা আর নাই। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে৷’’
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ব্যাপারে বাংলাদেশের আগ্রহ বেশি ছিলো বলে জানান প্রধানমন্ত্রী৷
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুসের বিচার স্থগিত করার ব্যাপারে ১৬০ ব্যক্তির চিঠির ব্যাপারে সরকার প্রধান হিসেবে আপনার কিছু করার আছে কি না এটিএন নিউজের সাংবাদিক আরাফাতের প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘ভদ্রলোক যদি এতোই আত্মবিশ্বাসী থাকেন তাহলে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না৷ আমি কে মামলা প্রত্যাহার করার? বিচারবিভাগ তো স্বাধীন৷ মামলা আইন অনুযায়ী চলবে৷ তারা এক্সপার্ট, আইনজীবী পাঠাক তাদের ক্লায়েন্টের জন্য৷ ৪০ বছরের সব কাগজপত্র তারা দেখতে পারবেন৷’’
‘ড. ইউনুসের বিদেশে বিনিয়োগ করা টাকা’ কোথা থেকে আসলো সে বিষয়ে কেন ‘তার ক্লায়েন্টরা’ জানতে চাননি এই প্রশ্ন করেন শেখ হাসিনা৷
বিভিন্ন মহলের রাজনৈতিক আলোচনা এবং সরকার পতনের আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল প্রশ্ন করেন, ‘‘দেশে আসলে কী হচ্ছে এবং কী হবে?” জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘‘এটার সিদ্ধান্ত জনগণকেই নিতে হবে৷ মেট্রোরেল, শতভাগ বিদ্যুতের সুফলতো জনগনের কাজেই লাগছে৷ যাই করি জনস্বার্থেই করি। আপনারা কীভাবে আশা করেন সবাই প্রশংসা করবে৷’’
ডিবিসি টিভির সাংবাদিক মজুরুল হাসান জিজ্ঞেস করেন ”অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে আপনি কি কি উদ্যোগ নিচ্ছেন?’’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘কার অংশহগ্রহণ? ভোটচোর, যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার হত্যাকারীদের, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের অংশগ্রহণ? আমার কাছে অংশগ্রহণ মানে জনগণের অংশগ্রহণ৷
আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে জমি অধিগ্রহণ করে কৃষিকাজ করার কথা বলা হয়েছিলো৷ শাইখ সিরাজের বর্তমানে সে বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন , ‘‘আগে নিজের ঘর সামলাতে হবে। আমাদের দেশে অনেক অনাবাদি জমি আছে৷ আগে সেগুলো ফসলের আওতায় আনবো৷ কৃষির আধুনিকায়ন করবো। আর আফ্রিকার ব্যাপারটায় সময় লাগবে৷’’
চীনের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবেন এবং বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চীনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি৷ এছাড়াও তাঞ্জানিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে আইটি খাতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ৷
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে বৈঠকে তিনি তাদের বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নেয়ার কথা বলেন৷
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সড়ক জনপদ যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার কবির উপস্থিতছিলেন।
ডয়চে ভেলে