বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু
- আপডেট সময় : ০২:০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু। এ সেতু চালু হলে বছরে জিডিপি বাড়বে প্রায় দেড় শতাংশ হারে। আর দারিদ্র্য কমবে প্রতিবছর আরো এক শতাংশ হারে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলাকে সরাসরি যুক্ত করবে সেতুটি। দক্ষিণের বন্দরগুলোতে গতি পিরে বাড়বে রপ্তানীও। অর্থনীতিবিদরা এ তথ্য দিয়ে বলছেন, পদ্মাসেতুর এই সংযোগ বদলে দেবে পুরো দেশের অর্থনীতি আর শিল্পায়নের চিত্র।
ফেরি চলাচল হঠাৎ বন্ধ। তাই স্থবির এই গাড়ির সারি। বন্ধ এপার-ওপারে যাওয়া-আসা। তবে, এই দুর্ভোগ শেষ হচ্ছে, আর মাত্র বছর দেড়েক পর। ২০২২ সালের শেষার্ধে পদ্মার উপর দিয়ে তুমুল গতিতে চলবে গাড়ি। ২০২৪ সালে চলবে রেল। গতি বাড়বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার অর্থনীতিরও। বৈশ্বিক ও দেশীয় নানা ষড়যন্ত্র আর বাধা উপেক্ষা করে অবশেষে সম্পূর্ণ দৃশ্যমান পদ্মাসেতু।
অর্থনীতিবিদদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এ সিদ্ধান্তে প্রতিবছর বাংলাদেশে উৎপাদন বাড়বে অন্তত ৩৫ হাজার কোটি টাকার, যা জিডিপি’র সোয়া শতাংশেরও বেশি। আর এতে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমবে ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুটি সমুদ্র বন্দর এবং একাধিক বিমান বন্দর থাকায় বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে। ফলে কেবল দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, গোটা দেশের বাণিজ্যে আসবে গতি, বাড়বে কর্মসংস্থান, সমৃদ্ধ হবে জাতীয় অর্থনীতি।
অর্থায়ন থেকে সরে যাওয়া সেই বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষাই বলছে, দেশের কমপক্ষে ৩ কোটি মানুষ সরাসরি এই সেতুর মাধ্যমে উপকৃত হবে। আঞ্চলিক জিডিপি বাড়বে অন্তত সাড়ে ৩ শতাংশ। উন্নয়ন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধিই নয়, আহ্চলিক বৈষম্য কমাতেও বড় ভূমিকা রাখবে পদ্মা সেতু।
গবেষণা বলছে, পদ্মার দু’পাড় সংযুক্ত হওয়ায় বঙ্গোপসাগর-তীরের বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আঞ্চলিক হাব। সরকারের রাজস্ব-আয় এতে যেমনি বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থান, পর্যটন, গ্রামকে শহরে রূপান্তর, জমির দাম বাড়াসহ সারাদেশের মানুষ ভোগ করবে বহু আকাংক্ষিত এই সেতুর প্রত্যক্ষ সুফল।