বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছে সরকার ও দেশ
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মার্চ ২০২১
- / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
মুজিব চিরন্তন প্রতিপাদ্যে ঢাকার জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ সমাপনী। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে টেকসই করতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছে সরকার ও দেশ।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দশ দিনের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার শেষ দিনে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানের থিম “স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সূবর্ণরেখা”। শুরুতেই গানে গানে আর প্রামান্যচিত্রে উঠে আসে বঙ্গবন্ধুর জীবন, আত্মত্যাগ আর দেশপ্রেম।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে। অধিকারকে অর্জনের মধ্যে সীমাবন্ধ না রেখে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করার আহ্বানও জানান তিনি।
সভাপতির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ভুলবার নয়। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সরকার প্রধান আরো বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একটি উন্নত দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে ভারতকে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে।
জলবায়ূ পরিবর্তনের ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্বনেতাদের সক্রীয় ভূমিকা দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ শুভক্ষণে বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও জনগনকে শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোতিও গুতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান , রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।