বাংলাদেশের নেশার জগতে হানা দিতে আসছে নতুন মাদক আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ
- আপডেট সময় : ০৩:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের নেশার জগতে হানা দিতে আসছে নতুন মাদক আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ। যা ইয়াবার চেয়ে অন্তত ১০ গুণ বেশী শক্তিশালী ও ক্ষতিকর। অস্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, চায়না, মালয়েশিয়ার মতো দেশে রাজত্ব করা আইসের নতুন গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। এতে উদ্বেগ জানিয়ে এরই মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিমান বন্দরসহ সম্ভাব্য রুটগুলোতে সতর্কতা জারী করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগকেও সক্রিয় করতে না পারলে নতুন মাদকের আগমন ঠেকানো যাবে না।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের মাদক বাজারে একছত্র অধিপতি ছোট্ট গোলাপী রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট। যাতে নেশার জন্য প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় মিথাইলাম ভিটামিন। একটি ১০০ মিলিগ্রাম ইয়াবা ট্যাবলেটে যার পরিমান ১০ থেকে ১২ শতাংশ।
জুলাই থেকে ডিসেম্বর এই ৬ মাসের পরিসংখ্যন বলছে, মাদকের বাজারে ইয়াবার কদর কমেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আশংকা, বাজারে বেশ কয়েকটি নতুন মাদকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যার শীর্ষে রয়েছে আইস বা ক্রিস্টাল ম্যাথ।
ইয়াবার মতো আইসের প্রধান উপকরণ মিথাইলাম ভিটামিন। যার পরিমান একশো মিলিগ্রামে ৮০ শতাংশের বেশী। একবার এই মাদক বাংলাদেশের বাজারে ঢুকলে, তা ইয়াবার চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশংকার কথা জানান বিশেষজ্ঞরা।
উন্নত দেশে অভিজাত এই মাদকের প্রচলন বেশী। একারণে বিশেষ এই মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে দেশের বিমান বন্দর আর আন্তর্জাতিক ডাক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশেষ সতর্কতা জারী করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষিদ্ধ কোন মাদকদ্রব্য উৎপাদন করে না বাংলাদেশ। তাই দেশের ভেতরে মাদক রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে।
নতুন মাদকের তালিকায় আইসের পরে রয়েছে আফ্রিকার দেশ ইথুপিয়ার মাদক খাট। দেখতে গ্রীণ টি’র আকৃতির এই মাদকের বেশ কয়েকটি চালান ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।