বাগেরহাটে ৪০ গ্রাম পানিশূন্য
- আপডেট সময় : ১০:৫২:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪
- / ১৮২২ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটের কচুয়ার বাধাল, রাড়িপাড়া, গোপালপুর এবং মোড়েলগঞ্জের বনগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রাম পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। খননের জন্য মোড়েলগঞ্জের বিষখালি নদীতে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি প্রবেশ করতে না পারায় খাল ও পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। পানির অভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মাছ ও ধান চাষীসহ স্থানীয়রা।
চৈত্র-গ্রীষ্মের খরতাপ শুরুর আগেই পানিশূণ্য সব। খাল পুকুর সবই আছে, নেই শুধু পানি। কচুয়ার বাঁধাল ইউনিয়নের সাংদিয়া, পিঙ্গুরিয়া, কিসমত পিঙ্গুরিয়া, মসনিসহ রাড়িপাড়া, গোপালপুর এবং বনগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ৪০টি গ্রামের সকল খাল, পুকুর ও ঘের পানিশূণ্য। খননের জন্য বিষখালি নদীতে বাঁধ দেয়ায় পানি প্রবেশ করতে পারছে না ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই পরিস্থিতির।
দীর্ঘদিন ধরে পানি না থাকায় এলাকার মাছ ও ধান চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এক সপ্তাহের বোরো ধানের মাঠে পানি দিতে না পারলে ফলন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানি সংকটে ঘেরের মাছ মরতে শুরু করেছে। কেউ কেউ সময়ের আগেই মাছ বিক্রি করছেন। এদিকে সাংসারিক কাজে ব্যবহৃত পানিরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বাধাল ইউনিয়নের কোন স্থানে পানি না থাকায় হাহাকার শুরু হয়ে যাবে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। বাঁধ কেটে পানি দিতে না পারলে, জনগণকে বাঁচাতে বিকল্প প্রস্তাবনা দিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।
এদিকে সাময়িক অসুবিধার কথা স্বীকার করে অতিদ্রুত পানি সরবরাহের আশ্বাস দিলেন বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার কৃষক মাছ ও বোরো ধান চাষে জড়িত।